logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
    • ইউ কে
  • সিলেট
    • মৌলভীবাজার
    • সুনামগঞ্জ
    • হবিগঞ্জ
  • মুক্তমত
  • সারাদেশ
  • প্রবাস
  • ব্যবসা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • খেলা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • ইউ কে
  • সিলেট
  • মৌলভীবাজার
  • সুনামগঞ্জ
  • হবিগঞ্জ
  • সারাদেশ
  • প্রবাস
  • পর্যটন
  • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • মুক্তমত
  • ব্যবসা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • লাইফস্টাইল
  • খেলা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • সিলেট মিরর পরিবার
  • যোগাযোগ
  1. প্রচ্ছদ
  2. প্রচ্ছদ
  3. শাহ এ এম এস কিবরিয়া সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে এক মানুষ

শাহ এ এম এস কিবরিয়া সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে এক মানুষ


প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ৭:১২:৫৪

সুরমা নিউজ:
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ বৈদ্যেরবাজারে এক জনসভায় ভাষণদানকালে তাঁকে হত্যা করে ঘাতকেরা। বিএনপি-জামায়াত সরকার তখন ক্ষমতায়। তারা কিবরিয়া হত্যার বিচার করেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের বিগত আমলেও কিবরিয়া হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া দুঃখজনক।

কিবরিয়া কেবল একজন সফল অর্থমন্ত্রীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে তাঁর অনন্য অবদান দেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে। কিন্তু তিনি যে দলের জন্য জীবন দিলেন, সেই আওয়ামী লীগ কি তাঁকে মনে রেখেছে? দল বা নেতা-নেত্রীরা ভুলে গেলেও বাংলাদেশের মানুষ এই ব্যতিক্রমী ও প্রজ্ঞাবান রাজনীতিককে ভুলবে না।

১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সে সময় সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। দুই ক্ষেত্রেই শাহ এ এম এস কিবরিয়া সফল হয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সময়েই বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। এর আগে কম্পিউটারের দাম ছিল সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছিল উচ্চ ও ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিবরিয়াই কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করেন। তিনি ভাবতেন, এই দরকারি জিনিস দুটি সুলভে সাধারণ মানুষকে দিতে পারলে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

আমি ছিলাম তাঁর অনুজ। তাই অনেক সময়ই দেশের রাজনীতি, মানুষ, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতাম। একবার তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম, ব্রিটেনের মতো দেশ যদি বৃদ্ধ, বিধবা, বিকলাঙ্গ রোগীদের বছরের পর বছর ভাতা দিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ সরকার তা করছে না কেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমরা গরিব দেশের মানুষ, এতটা মূলধন এখনো গড়ে তুলতে পারিনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যারা নিতান্তই অসহায় তাদের জন্য রাষ্ট্রেরও কর্তব্য আছে। আর সে কারণেই বৃদ্ধ, বিধবা ও দুস্থ ভাতা চালু করেছি।’ প্রথম দিকে এই ভাতার পরিমাণ কম থাকলেও উত্তরোত্তর বেড়েছে এবং পরবর্তী সব সরকারই কিবরিয়ার এই নীতি চালু রেখেছে। তাঁর আরেকটি বড় সাফল্য আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। শহরে গরিব ও বেকারদের চাপ কমাতে তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করেছিলেন। গ্রামে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে কিবরিয়ার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভৈরব সেতু। রাজধানী ঢাকা শহরের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য এটি খুবই জরুরি ছিল। তাঁর পূর্বসূরি সাইফুর রহমান অনেক চেষ্টা-তদবির করেও এই সেতুর প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে পারেননি। কিবরিয়া প্যারিসে গিয়ে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন অর্থ প্রদানকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেনদরবার করে এর অর্থ জোগাড় করেন। আওয়ামী লীগ আমলে সেতুর অধিকাংশ কাজ হলেও শেষ হয় চারদলীয় জোট আমলে এবং তাঁরা জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো যে সেই অনুষ্ঠানে কিবরিয়াকে দাওয়াত পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এটাই বাংলাদেশের সংকীর্ণ রাজনীতি।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আমার সুযোগ হয়েছিল কিবরিয়াকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার। এ প্রসঙ্গে তিনি দাদা শাহ ফোরকান আলীর একটি ঘটনা বলেছিলেন। ১৯৪৬ সাল। তিনি রাতে গদিঘরে ঘুমাতেন। এর খুব কাছে গান-বাজনা করতেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। দাদা পরহেজগার ব্যক্তি, সারা রাত নামাজ পড়তেন ও কোরআন তেলাওয়াত করতেন। একদিন হিন্দুদের কীর্তন শুরু হলে হাজার খানেক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাদার কাছে হাজির হন। তাঁরা তাঁর কাছে জানতে চান, এই গান-বাজনার জন্য তিনি নিশ্চয়ই নামাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। তাঁর অনুমতি পেলে তাঁরা আখড়া উড়িয়ে দেবেন। জবাবে দাদা বললেন, ‘কেন? আমি যখন নামাজে দাঁড়াই, আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকি, তখন তো কিছুই শুনি না। ওরা তো যুগ যুগ ধরে গান-বাজনা করে আসছে, এতে আমার মোটেই অসুবিধা হচ্ছে না।’ তাঁর এই দৃঢ় মনোভাব দেখে সবাই চলে যায়।

কিবরিয়া বলতেন, এ দেশে হিন্দু-মুসলমান শত শত বছর একসঙ্গে বসবাস করে আসছে। কোনো সমস্যা হয়নি, এখন কেন হবে? তিনি এ জন্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেই দায়ী করতেন। কিবরিয়া শৈশব থেকে যে অসাম্প্রদায়িক শিক্ষা পেয়েছেন আজীবন সেটিই লালন করেছেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন।

আরেকটি ঘটনা। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিবরিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পয়লা মস্কো সফর। আবদুস সামাদ আজাদ তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশকে কীভাবে এই পরাশক্তির কাছে তুলে ধরা হবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা। শেষ পর্যন্ত কিবরিয়ার প্রাজ্ঞ ভূমিকায় সবাই খুশি হলেন।

১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিবরিয়া এসকাপের সেক্রেটারি পদে যোগ দেন। বাংলাদেশ সরকার তাদের পছন্দসই এক ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করলেও জাতিসংঘের মহাসচিব কুট ওয়াল্ডহাম কিবরিয়াকেই বেছে নেন।

কিবরিয়া ছিলেন একজন বড় মনের সমাজসেবক ও নিবেদিতপ্রাণ মানুষ। তিনি দেশের স্বার্থকে সবার ওপর দেখতেন। সংকীর্ণতা তাঁকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। রাজনীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়াকে তিনি মনে-প্রাণে ঘৃণা করতেন। আজ যদি কিবরিয়া বেঁচে থাকতেন, তাহলে সাহস, ধৈর্য ও প্রজ্ঞা দিয়ে দেশের এই কঠিন সংকটময় মুহূর্তে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারতেন।
শাহ মোহাম্মদ ইমাম মেহদী: লন্ডন প্রবাসী আইনজীবী।

প্রচ্ছদ এর আরও খবর
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর

ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৫তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান ১২ নভেম্বর

বাংলাদেশে তৈরি ‘গুফি’ বই ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে

বাংলাদেশে তৈরি ‘গুফি’ বই ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে

‘আগামী শীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে বিশ্ব’

‘আগামী শীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে বিশ্ব’

ব্রিটে‌নে বিপর্যস্ত বাংলা‌দেশিদের আ‌য়ের উৎস রেস্টু‌রেন্ট শিল্প

ব্রিটে‌নে বিপর্যস্ত বাংলা‌দেশিদের আ‌য়ের উৎস রেস্টু‌রেন্ট শিল্প

সর্বশেষ সংবাদ
দাখিলে পাশের হার ৬৮.০৯, জিপিএ-৫ পেলেন ৯০৬৬ জন
দাখিলে পাশের হার ৬৮.০৯, জিপিএ-৫ পেলেন ৯০৬৬ জন
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ শিক্ষার্থী
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ শিক্ষার্থী
এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৮.৪৫
<span style='color:#ff0000;font-size:16px;'>জুলাই গণহত্যা</span> <br> শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু
জুলাই গণহত্যা
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু
সুনামগঞ্জে নিরাপদ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
সুনামগঞ্জে নিরাপদ মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা
চা শ্রমিকদের অধিকারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক
চা শ্রমিকদের অধিকারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায় আটক
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায় আটক
সিলেটসহ সারাদেশে আলিম ও কারিগরির এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
সিলেটসহ সারাদেশে আলিম ও কারিগরির এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
লন্ডনে থাকা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’
লন্ডনে থাকা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ‘দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’
হবিগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
হবিগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
জীবনের পথে, মানুষের তরে ডা. এস এম আসাদুজ্জামান জুয়েল
জীবনের পথে, মানুষের তরে ডা. এস এম আসাদুজ্জামান জুয়েল
নির্বাচন রোজার আগে হতে পারে: প্রেস সচিব
নির্বাচন রোজার আগে হতে পারে: প্রেস সচিব
<span style='color:#ff0000;font-size:16px;'>ফাঁস হওয়া অডিও যাচাই বিবিসির</span> <br> জুলাইয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন
ফাঁস হওয়া অডিও যাচাই বিবিসির
জুলাইয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন শেখ হাসিনা নিজেই দিয়েছিলেন
<span style='color:#ff0000;font-size:16px;'>সিলেটে মির্জা ফখরুল</span> <br> নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে
সিলেটে মির্জা ফখরুল
নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে
ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

© 2023 Sylhetmirror.com All Rights Reserved

সম্পাদক: মোহাম্মদ আব্দুল করিম (গণি)
নির্বাহী সম্পাদক: এনামুল হক রেনু

সিলেট মিরর পরিবার

Office: Unit 2, 60 Hanbury Street London E1 5JL

sylhetmirror@gmail.com

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh

Go to top