হাসিনার মামলায় আমিই হয়তো শেষ সাক্ষী: নাহিদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪৫:৪১
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সাক্ষ্য শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমিই শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে।’ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে আসেন তিনি।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমিই শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে।’
ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অর্থাৎ রায়ের দিকে দ্রুততম সময়ে যাবে। তবে বাকি সব মামলাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলে। এজন্য যেন নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করে সরকার।’
একইসঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন তাদের ইশতেহারে নির্বাচনের পরও জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান রাখার কথা উল্লেখ রাখে।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দি দেন মামহমুদুর রহমান। মঙ্গলবার দিলেন অবশিষ্ট জবানবন্দি। এর পর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তারা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।