দেশে করোনায় প্রাণহানি ২১ হাজার ছাড়াল
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ আগস্ট ২০২১, ৭:৪৩:২১
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু আরও বেড়েছে। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৪৬ জন‑ যা গতকাল (১ আগস্ট) ছিল ২৩১ জন, তার আগের দিন (৩১ জুলাই) ছিল ২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ২১ হাজার ১৬২ জন।
গত ২৮ জুলাই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়ায়। সে হিসেবে সব শেষ এক হাজার মৃত্যু হলো পাঁচদিনে।
করোনাতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। যা কিনা গতকাল ছিল ১৪ হাজার ৮৪৪ জন, আর তার আগের দিন শনাক্ত হয়েছিলেন নয় হাজার ৩৬৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৮২ জন। আর দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ আট হাজার ৭৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৩৭টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৬২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৫টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮০২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৭ জন আর নারী ১০৯ জন। দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১৪ হাজার ২৭৯ জন আর নারী মারা গেলেন ছয় হাজার ৮৮৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে জানিয়েছে, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিনজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছে দুইজন।
তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৭৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ২২ জন, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের ১৬ জন, সিলেট বিভাগের ১৪ জন, রংপুর বিভাগের ১৪ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ১০ জন।
অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ১৪৬ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৯ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ১৫ জন আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজন।