সায়েন্স ল্যাবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৩৬ জন ঢামেকে ভর্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৮:১৯:১১
বাস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের কারণে এখনও রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। হামলা ও সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩৬ জন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে পর্যন্ত ৩৬ জন এসেছে। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে পুলিশের টিয়ারশেলের মুখে সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেন। অপরদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হলেও পরে সংঘটিত হয়ে সিটি কলেজের গেটে এসে হামলা চালায়।
এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ভবনের ভেতরে আটকেপড়া সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরা ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে কলেজটির সামনে থাকা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক ও উৎসুক অনেকে আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত যেভাবে
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগের ঘটনার জেরে সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের একটি বাসে সিটি কলেজের ছাত্ররা হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এরপরেই উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষ ও ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া আতঙ্কে সায়েন্সল্যাব এলাকার দোকানপাটও বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
আহতরা হলেন— ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার (২১), মো. নূর হোসেন (২৪), মো. তুষার (১৮), ঢাবির (বিজয় ৭১হল) শিক্ষার্থী অনিম (২১), ঢাকা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সেজান (১৮), ঢাকা কলেজের অনার্স ২০-২১ শিক্ষার্থী রিফাত (২১), ঢাকা কলেজের অনার্স সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত (২১), ঢাকা কলেজের অনার্স জিওগ্রাফির শিক্ষার্থী নিরব (২১), ঢাকা কলেজ অনার্সের শিক্ষার্থী শরিফ (২১), ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. ইয়াকুব (১৮), ঢাকা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২১), ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আল-ইমরান (১৮), ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর (১৮)। এছাড়া সুজন (১৮), মো. আরিফ (১৭), মহিউদ্দিন (২৩), তারেক (৩২), তাহসিন (১৮), ফয়সাল (১৮), অরিকুল তরিকুল ইসলাম (রাজীব) (২৫), মোহাম্মদ আলী (১৭) হাসান (১৮), ইসমাইল (১৮), ফাইয়াদ (১৮), মো. মাহির (১৭), সাকিন (১৮), তানভীর (১৮), তামিম (১৮), তাওফিকুর রহমান (১৭), আশিক (১৮) রাজ (১৮), মেহেদী (১৮), শিশির (১৮), মো. আশিকুল (১৫), তাওসিফ (১৯), তোহা (১৮) ও শিহাব (১৮)। তারা বেশিরভাগই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শরীরে ইট পাটকেল ও লাঠির আঘাত রয়েছে।