জানুয়ারিতেই বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৭:০২:২৮
পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বই ছাপাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেছেন, ‘জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।’
আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিগত কয়েক বছর ধরে বই উৎসব করা হয়। এদিন বাচ্চাদের বই দেওয়া হয়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বই তৈরি করা, বই ছাপাতে দিতে কিছু দেরি হয়েছিল। বইগুলোতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল। যে পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হয়েছিল, তা কিছুটা পরিমার্জন করা হয়েছে। সে কারণে বিলম্ব হয়েছে। তবে দেরি হলেও আগামী বছর জানুয়ারিতেই বিনামূল্যে বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।’
প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে রয়েছে। আমাদের প্রাইমারি প্রধান শিক্ষকরা এখনও ১০ম গ্রেড পাননি। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি বাস্তবসম্মত নয়। তবে তাদের দাবি অযৌক্তিক নয়। আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে প্রাইমারি প্রধান শিক্ষকরা যাতে ১০ম গ্রেড পান। আমরা সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ তৈরি করছি। প্রাইমারি সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতি পাবেন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে। ক্রমান্বয়ে তারা পদোন্নতি পেয়ে ১০ম গ্রেড পাবেন। তবে এখন দাবি বাস্তবসম্মত নয়।’
অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘ত্রুটিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে। দেশকে উন্নত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে গতিশীল করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
শিক্ষার সবচেয়ে অপরিহার্য বিষয় প্রাথমিক শিক্ষা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতি সবচেয়ে ধনী হচ্ছে জনশক্তিতে। এ আপন সম্পদ কীভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় সে বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই কোনোদিন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদি নেওয়া হতো, তাহলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষা এ অবস্থায় থাকত না।’
বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, ‘যদি নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে প্রতিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে, বাস্তবিক অর্থেই সব ক্ষেত্রে এর পুরোপুরি ব্যবহার হবে না। ফলে নিজেদেরই কম খরচ করে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়ার মত লাগসই কিছু ভাবতে হবে।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।