হবিগঞ্জ ৩ মাস পর ৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন আদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৮:০১:১৪
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নিহত ৯ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক আদালত মোঃ আব্দুল আলীম এ আদেশ দেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বানিয়াচং উপজেলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ ১১জন নিহত হন। পরে ৯জন ছাত্র জনতা নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরবর্তীতে ১৩ অক্টোবর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলার কাগজ দীর্ঘ পর্যালোচনা করে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেন, যেহেতু ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছে, সেহেতু মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।
এসআই বলেন, ইতিমধ্যে আদালত থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য চিটি দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে যেকোনো সময় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হবে। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার পূর্বগড়ের মো. ধলাই মিয়ার ছেলে মো. সাদিকুর রহমান, খন্দকার মহল্লার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আনাস মিয়া, ভাঙ্গার পাড়ের মো, ছানু মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়া, জাতুকর্ণপাড়ার মো. আব্দুন নূরের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম, আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেন, পাড়াগাঁওয়ের ম. শমসের উল্লার ছেলে মো. মোজাক্কির মিয়া, কামালখানী মহল্লার মৃত মো. আলী হেসেনের ছেলে শেখ নয়ন হোসেন, সাগর দিঘীর পূর্বপাড়ের মৃত মোশাহিদ আখঞ্জীর ছেলে সোহেল আখঞ্জী এবং চানপুরের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে আকিনুর রহমান।
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, ইতিমধ্যে এই মামলায় ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের একদফা দাবিতে বানিয়াচংয়ে পুলিশের সাথে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ৪জন মারা যান। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো ৫জন মারা যান। এ ঘটনায় ১জন পুলিশ ও ১জন সাংবাদিকসহ মোট ১১জন মারা যান।