বিসিএস পরীক্ষায় তিনবারের বেশি অংশ নেওয়া যাবে না
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯:০৭:৩০
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিসিএস) একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবেন, এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠন করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে অধ্যাদেশটি খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোয় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ অধ্যাদেশের আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা ৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবে, এমন বিধি সংযোজন করবে।
২০১৪ সালের বিধিমালার বয়সসীমা-সংক্রান্ত ১৪-এর ৩ বিধিতে বলা আছে, ‘বয়সসীমা-(১) কমিশন কর্তৃক যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করা হইবে উক্ত মাসের প্রথম তারিখে কোন প্রার্থীর বয়স ২১ (একুশ) বৎসরে নিয়ে বা ৩০ (ত্রিশ) বৎসরের ঊর্ধ্বে হইলে তিনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।’
বিধি ১৪-এর ৪ উপবিধিতে বলা আছে, ‘উপবিধির (১) এবং (২)-এ উল্লিখিত বয়সসীমা বিশেষ অবস্থায় সরকার কর্তৃক সময় সময় শিথিলযোগ্য হইবে।’
এই বিধিতে একজন প্রার্থী কতবার অংশ নিতে পারবেন, তা নির্ধারিত ছিল না। সেই হিসাবে যত দিন তার আবেদনের বয়স থাকে, ততবারই আবেদন করতে পারতেন।