দেড় মাসে সিলেটে ৬৯৩ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২৫, ৯:৪৩:০৫
সিলেটের জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত দিয়ে আজ নতুন করে আজ ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ এডিএমএন ৩১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এদের সবাইকেই আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ নিয়ে গত দেড় মাসে সিলেটের ৩১০ কিলোমিটার জুড়ে ৬৯৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। বিজিবির কঠোর নজরদারির মধ্যেও অব্যাহত পুশইন সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠা বাড়িয়ে তুলেছে।
আজ শুক্রবার ভোরে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মিনাটিলা কেন্দ্রী গ্রামে ১৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে পুশইন করেছে বিএসএফ।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮-বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, শুক্রবার ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন মিনাটিলা বিওপির টহলদল কর্তৃক মেইন পিলার ১২৮২/৮ এস থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কর্তৃক পুশইনকৃত ১৭ জন নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, পাঁচজন মহিলা ও সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি জানান, আটক হওয়া ১৭ জনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার ১৯ বিজিবির অধীনস্থ লালাখাল বিওপির একটি টহল দল বাগছড়া নামক স্থান থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে (মিয়ানমারের নাগরিক) আটক করে।
১৯ বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লালাখাল বিওপি ও ভারতের ৪ ব্যাটালিয়ন জালিয়াখোলা বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন সীমান্তের মেইন পিলার ১৩০১ থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশইনকৃত অবস্থায় ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ চারজন, মহিলা চারজন, ছেলে শিশু তিনজন ও মেয়ে শিশু তিনজন রয়েছে।
জকিগন্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ জুবায়ের আনোয়ার জানান, আটক ১৪ জন রোহিঙ্গাকে পরিচয় বিস্তারিত তথ্যাদি সংগ্রহ পূর্বক নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত পাঁচ থেকে ছয় বছর আগে টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে তারা পালিয়ে ভারতে গিয়েছিল। তাদের পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি জোরদারসহ পুশইন সংক্রান্ত বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।