জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ্যে এসে শিবির সভাপতি বললেন ‘আমাদের বিষয়ে ভিসি-ট্রেজারার সবাই জানতেন’
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৫৪:৫৭
জবি প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার প্রকাশ্যে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে এক ফেসবুক পেজে প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম আলীর স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
যৌথ বিবৃতিতে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা যায়, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বে থাকা ইকবাল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ -১৬ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার অনলাইনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: গোপনেই সব দখল নিতে মরিয়া শিবির’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের দুই নেতা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের শিবির ট্যাগ দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি একটি চরম মিথ্যাচার। আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগ কর্তৃক ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রশিবিরের ভাইদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। মামলা হামলা দিয়ে শিবিরের জনশক্তিকে হয়রানি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনেক দায়িত্বশীল ভাইয়ের অবৈধভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং অনেক ভাই ছাত্রলীগের রোষানলে পড়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। সুতরাং সাধারণ ছাত্রদের শিবিরের কর্মীদের দ্বারা শিবির ট্যাগ দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং প্রকাশ্য মিথ্যাচার।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম নিয়েও শিবিরের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মটি ছিল একান্তই সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম। আন্দোলনে যারা সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের দ্বারাই এই প্ল্যাটফর্মটি পরিচালিত হচ্ছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন নামে যে প্ল্যাটফর্মটি আছে সেটি বিভাগভিত্তিক সকল শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত।’
তারা আরও বলেন, ‘অবকাশ ভবনের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নিয়েও মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অবকাশ ভবনের সকল সংগঠন তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত। প্রত্যেক ক্লাবের নির্ধারিত নির্বাচনপদ্ধতির মাধ্যমেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। সেখানে ছাত্রশিবিরের হস্তক্ষেপের প্রশ্ন তোলাটাই অযৌক্তিক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোন আলাপে আত্মপ্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমাদের এটা আসলে আত্মপ্রকাশ না, অনেক আগে থেকেই আমাদের কার্যক্রম চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ট্রেজারারসহ প্রশাসনের সকলেই আমাদের ব্যাপারে অবগত ছিলেন। আমাদের কমিটি বছরের শুরুতেই দেওয়া হয়। বাকিরাও খুব শিগগির সামনে আসবেন। আমরা তাদের নাম, সেশন, ডিপার্টমেন্টসহ কমিটির প্যাডে প্রকাশ করবো।’