জগন্নাথপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৫
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:৪৫:৩৮
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা পল্লিতে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার স্থানীয় গ্রামের মাঠে শিশুরা ফুটবল খেলছিল। এ সময় ওই ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার কুবাজপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম ও মোতাহির আলীর ছেলে মঞ্জুর মিয়ার মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় প্রাথমিকভাবে সমাধান করা হয়। পরে মঙ্গলবার ওই ঘটনার জের ধরে বিরোধী দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ইউসুফ মিয়া, হাসান মিয়া, ইজাজ মিয়া, সাজ্জাদুর রহমান, মিলাদ মিয়া, সুহেল মিয়া, ফারকাজ মিয়া, গোলাপ আলী, নাহিম, খলিল মিয়া, লুবন আলী, মুহিমা বেগম ও শানুর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট মেডিকেলে পাঠানো হয়।
হাজী মজিদ মিয়া জানান, তাঁর ছেলে ও স্থানীয় মেম্বার মিলাদের চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে বাচ্চাদের ফুটবল খেলা নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা সমাধান করেন। ঘটনার এক দিন পর সোমবার প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করে। তবে মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালালে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে প্রতিপক্ষের অভিযোগ অস্বীকার করে মোতাহির আলীর পক্ষের স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলাদ জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন আগে তাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম জানান, বাচ্চাদের ফুটবল খেলার মতো সামান্য বিষয় নিয়ে দু’পক্ষ দ্বন্দ্বে জড়ায়।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।