জাপানের ২ ওষুধেই করোনা বাজিমাতের আশা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২০, ৮:২৪:১০
সময়ের সঙ্গে মহামারি হয়ে গর্জে ওঠা করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা খুঁজে পেতে বিশ্ব যখন ব্যস্ত তখন জাপান দেশটির একটি পুরনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আশা জাগাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এই ওষুধটির প্রশংসা করে উৎপাদনের জন্য ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সরকারি তহবিল সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে, করোনার চিকিৎসার জন্য দেশটির এটিই একমাত্র সম্ভাব্য ওষুধ নয়। ওসাকাভিত্তিক ওনো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ৩৫ বছরের পুরনো আরেকটি ওষুধ করোনার চিকিৎসায় জাপানি বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছে।
অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহের (প্যানক্রিয়াটাইটিস) চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্যামোস্ট্যাট নামের এই ওষুধটি করোনা রোগীদের প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়ার পর দেশটির সরকার এটি নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। বিশ্বজুড়ে কয়েকডজন ওষুধ ও ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে; সেই তালিকায় আছে জাপানি এ দুই ওষুধ।
জাপানি প্রধানমন্ত্রীর মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ব্যাপারে প্রশংসা করেছেন। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সের তৈরিকৃত রেমডেসিভিরের পরীক্ষায় করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে জানানোর পর জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি মুহূর্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুর হার কমাতে তেমন কোনও ভূমিকা না রাখতে পারলেও রেমডেসিভির হাসপাতালে করোনা রোগীর অবস্থানের সময় কমিয়ে আনছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। গত মার্চে অ্যাভিগানের প্রতি চিকিৎসকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, যখন চীনা এক কর্মকর্তা বলেন, এই ওষুধটি প্রয়োগে কোভিড-১৯ রোগীদের দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাপানি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটির ১৪টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এসব ট্রায়ালের ফল চলতির মাসের শেষের দিকে আসার কথা রয়েছে। কার্যকর ফল এলেই অ্যাভিগানের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিনজো অ্যাবে। নজিরবিহীন গতিতে ওষুধটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন।