সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২৫, ৯:৪৯:০৭
সিলেটে পৃথক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর ও জকিগঞ্জের ইউনিয়ন অফিস বাজারে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীরামপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ঝর্ণা বেগম (৩৫) নামের এক নারী। তিনি দক্ষিণ সুরমার আকিলপুর গ্রামের জুনেদ আহমদের স্ত্রী। দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেটকারে থাকা তার স্বামী ও সন্তানরা আহত হন। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিকালে ঝর্নার ১০ বছর বয়সী ছেলে সিয়াম আহমদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
মোগলাবাজার থানার এসআই আলিফ আহমদ দুর্ঘটনায় দুজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঝর্ণা বেগমের স্বামী জুনেদ ও তাদের অপর দুই ছেলে-মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, বুধবার বিকেলে জকিগঞ্জের ইউনিয়ন অফিস বাজার এলাকায় বর-কনের বিয়ের মাইক্রোবাসের সাথে একটি টমটমের (ইজিবাইক) সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই টমটম চালক জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের হাসিতলা গ্রামের সাবু মিয়া (৫০) নিহত হন।
দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ মাইক্রোবাস ও টমটমের ১২ যাত্রী আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোনাসারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার মানিকপুর ইউপি’র বল্লাহ গ্রামের জামাল আহমদের ছেলে আবুল কালামের সঙ্গে কাজলসার ইউপির কড়ইমুড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে রোজিনা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠান শেষে কনে নিয়ে বরের বাড়ি ফেরার পথে বর-কনেকে বহনকারী মাইক্রোবাস ইউনিয়ন অফিস বাজার এলাকায় পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিক্সা (টমটম) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা চালক শাহাবুদ্দিন সাবু নিহত হন এবং বরযাত্রীর গাড়িতে থাকা বর-কনে, নারী শিশুসহ আরও ৮ জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে সোনাসার রাগীব রাবেয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা জব্দ করে।
মোমেন জানান, তিনি বিয়ের বরযাত্রীদের কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন বরযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাস গাড়ির চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, বরযাত্রী বহনকারী গাড়ির সঙ্গে অটোরিকশা টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে টমটম চালক নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, আহত চারটি শিশুসহ গুরুতর আহত ৮জনকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের অনেকের অবস্থাই আশংকাজনক।