হার্টের সমস্যাসহ নানা রোগ দূর করে কফি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৫, ৮:৪৯:৫১
বাইরের খাবার আমরা খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে ফাস্টফুট। তাই হিসাব মেলাতে গিয়ে দেখতে পাচ্ছেন ফাস্টফুড বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আর প্যাকেটজাত খাবারের মান পড়ে যাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ভেজালের পরিমাণ বৃদ্ধি— এসব কিছুরই প্রভাব পড়ছে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর। আগের থেকেও বেশি দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজেকে তারুণ্যে ধরে রাখতে বেশি বেশি করে কফি খান। কারণ কফিতে আয়ু বাড়তে পারে দুই বছর। এবং হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন রোগ দূরে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে কফিতে। একটি গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, আপনি যদি নিয়মিত কফি খান, তাহলে অন্তত দুই বছর পর্যন্ত আপনার আয়ু বাড়তে পারে। এই দুই বছরের ওই আয়ু হবে রোগবর্জিত। অর্থাৎ কেবল বেঁচে থাকা নয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই চাই কফি।
কীভাবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি সেবন করলে তা আমাদের জৈবক্রিয়া সতেজ রাখতে সাহায্য করে, সেই গবেষণাপত্রটির লেখক তার প্রতিবেদনে জানাচ্ছেন, কফিতে বার্ধক্য-রোধক গুণাগুণ রয়েছে। যে যে কারণে আমাদের শরীরের বয়স বাড়ে, যেমন কোষের পরিবর্তন, জিনগত স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়া— ওই সব কিছুকেই প্রভাবিত করতে পারে কফি।
এর আগে একটি গবেষণার ফল যাচাই করার জন্য নতুন করে গবেষণা শুরু করেছিল ইউরোপের পর্তুগালের কোয়েম্বারা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে এজিং রিসার্চ রিভিউ নামের একটি পত্রিকায়। সেখানে বলা হয়েছে— নিয়মিত কফি খেলে মানুষের গড় আয়ু নিদেনপক্ষে ১.৮ বছর বাড়তে পারে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে—কফিতে আছে দুই হাজারেরও বেশি সম্ভাব্য বায়ো-অ্যাকটিভ উপাদান। এর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিভিন্ন প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদানও, যা মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রদাহমুক্ত রাখে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। গবেষক কুনহা বলেছেন, সাধারণত বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া বা জৈবক্রিয়ার অবনতি হতে শুরু করে। যেটি হলে নানা রকম স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি হার্টের রোগ ও কিডনির সমস্যার মতো কোমর্বিডিটিও তৈরি হতে পারে।
কুনহা আরও বলেন, আমরা সাধারণত দেখি বেশি বয়স্কদের ক্যাফিন বা কফির সেবন কমাতে বলা হচ্ছে। কিন্তু নতুন গবেষণার নিরিখে বলতে পারি— সেই উপদেশকে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। তবে কফি ঠিক কীভাবে এবং কতটুকু পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যকর আয়ুবৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তার নিখুঁত হদিস এখনো দিতে পারেননি গবেষকরা। এর জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন পর্তুগালের এ গবেষকরা।
রডরিগো কুনহাও বলেন, আমরা এখন আগের থেকেও দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছি। তাই আমরা কী খাচ্ছি, তার ওপর গুরুত্ব দেওয়াটা এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের এখন এমন খাবার খুঁজে বার করতে হবে, যা শুধু আমাদের আয়ু বাড়বে না, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।