ধলাই সেতু কি রক্ষা হবে?
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২৫, ৪:৩৬:২৬
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ‘ধলাই সেতু’ রক্ষায় কি স্থানীয় প্রশাসন ব্যর্থ? ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য অবলোকন ও উৎমা ছড়া পর্যটন স্পটে যাতায়াতের একমাত্র পথ এ সেতুটির পিলারঘেঁষে অবাধে বালু উত্তোলনকারীদের কোনভাবেই দমানো যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, সচেতন ব্যক্তিবর্গ-এ নিয়ে দফায় দফায় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও কাজের কাজ যেন কিছুই হচ্ছে না। উপরন্তু, বালুখেকোরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কখনো রাতের আঁধারে, কখনো সন্ধ্যা রাতে আবার কখনো প্রকাশ্য দিবালোকে এরা বালু উত্তোলন করছে।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুর পিলারঘেঁষে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি-বালু উত্তোলন। আইন-শৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই চলছে অবাধে বালি উত্তোলন। খনিজ সম্পদে ভরপুর জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে ভারত সীমান্তঘেঁষা তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে ধলাই সেতু। সে সেতু এলাকা লক্ষ্য করে অবাধে বালি উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও পুনরায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতুর পিলারঘেঁষে বালি উত্তোলন শুরু করে তারা। এ পরিস্থিতিতে সেতু রক্ষায় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে সীমান্তবাসী।
পাড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী বাবুল জানান, ধলাই সেতুর পিলারঘেঁষে বারকি নৌকা দিয়ে বালি তুলছে একটি অসাধু চক্র। দীর্ঘদিন ধরে পুরো এলাকা ধ্বংস করে দিয়ে সেতুর নিচ এলাকা লক্ষ্য করেছে ওই চক্র। তিনি সেতুটি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
পূর্ব ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে সোস্যাল মিডিয়ায় এ মর্মে পোস্ট দিয়েছেন যে, ‘ধলাই ব্রীজটা পূর্ব পাড়ের মানুষের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শত চেষ্টা করার পরেও ব্রিজটা ভাঙতেছে না।’
রইস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘বালু উত্তোলনকারীদের ধরে আইনের আওতায় না নিলে সেতু রক্ষা হবে না, সংশ্লিষ্ট বালু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়ার মন্তব্য, ‘সামান্য লাভের জন্য মূল্যবান ব্রীজটির ক্ষতি করছেন। এতো প্রচার প্রচারণার পরও যদি মানুষ বুঝে না-এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।’