শিশু মুনতাহা হত্যা
আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েও দেননি মার্জিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮:৫৮
সিলেটের আলোচিত ৫ বছর বয়সী শিশুকন্যা মুনতাহা অপহরণ ও হত্যা মামলার চার আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছিল আজ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে আসামিদের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
এদিন আদালতে চার আসামির মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও আদালতে এসে মুখ খোলননি তিনি, দেননি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি। পরে ৪ আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।
মুনতাহা হত্যা মামলার চার আসামি হলেন- কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীমা বেগম ওরফে মর্জিনা, তার মা আলিফজান বেগম, নাজমা বেগম ও ইসলাম উদ্দিন। অপহরণ ও হত্যা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনায় মুনতাহার প্রতিবেশী ও সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা শামীমা আক্তার মারজিয়া, তার মা আলিফজানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১১ নভেম্বর আদালতে হাজির করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম বলেন, মারজিয়া প্রথমে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত ছিল। পরে খাস কামরায় বিচারক তাকে যথেষ্ট সময় দিতে ভাবনা-চিন্তা শেষে স্বীকারোক্তি দিতে অসম্মতি জানায়।
নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর সিলেটের কানাইঘাটে অপহৃত শিশু মুনতাহার মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ির পাশে। হত্যার পর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে লাশ সরানোর সময় প্রতিবেশী নারীকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। দিনভর তদন্তে পুলিশ তিন নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায়। তবে খোদ পুলিশও হতভম্ব, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এমন হত্যাকাণ্ডে।
পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা মার্জিয়া অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশী ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের ওপর। এছাড়া মারজিয়ার ওপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। এরপর রোববার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে প্রতিবেশী মারজিয়ার মা আলিফজান বিবি, লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে আটক হন। এ সময় মুনতাহার গলায় রশি বাঁধা ছিল। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দেয় ঘাতক পরিবারের বাসায়।