তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরিতে আগুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ৯:০১:১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় কেমিক্যাল মিথানলবাহী একটি খালিট্যাংকলরিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (৯নভেম্বর) দুপুর পৌণে ২টার দিকে তামাবিল স্থলবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে মিথানলবাহী খালি ট্যাংকলরির সামনের কেবিনের অংশ পুড়ে যায়।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার সাথে সাথে ভারতীয় ডাউকি ল্যান্ডপোর্টের ফায়ার ব্রিগেড ও জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজনসহ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আমদানিকৃত দাহ্য পদার্থ ঢাকার টিকে গ্রুপের সামুদা স্প্রেক কেমিক্যাল লিমিটেড বলে জানা যায়।
তামাবিল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ভারতীয় মিথানলবাহী খালি (আনলোড হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা) ট্যাংকলরিতে ( NLO-LA-H 9493) বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, গত ৫ই নভেম্বর বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭টি ট্যাংকলরি তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে, তার মধ্যে সামুদা স্প্রেক কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৫টি ট্যাংকলরি রয়েছে। ল্যাবরেটরী পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরিতে কেমিক্যাল স্থানান্তর করা হয়। প্রতিটি ভারতীয় ট্যাংকলরিতে ২৮-৩০ টন মিথানল নামের কেমিক্যাল থাকে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আগুন লাগা ট্যাংকলরিটি ৭টি আমদানি হওয়া ট্যাংকলরির সর্বশেষ ছিল। কি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড হতে পারে এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া ট্যাংকলরির ভেতরে ওয়্যারিং শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।
এদিকে মিথানলের ট্যাংকলরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ও স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমন অবস্থায় দাহ্য পদার্থ আমদানি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে মনে করছেন স্থানীয়রা।