নিয়োগের ১৫ দিন পর সিলেট আদালতের পিপি বদল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২০:৫৫
সিলেট প্রতিনিধি : নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক আদেশে তার নিয়োগ বাতিল করে এই পদে অ্যাডভোকেট মো. আশিক উদ্দিন আশুককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরের জামান চৌধুরী জানান, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল করে এই পদে অ্যাডভোকেট মো. আশিক উদ্দিন আশুককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি করা হয় এ টি এম ফয়েজ উদ্দিনকে এবং অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিবকে করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি। তবে নিয়োগের পর থেকেই এই দুই পিপি অপসারণসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ দুজনের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কয়েকদিন টানা আন্দোলন করেন আইনজীবীদের একপক্ষ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল- অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ বহুরূপী ও বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বিএনপিতে এসেছিলেন। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দীর্ঘ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। দলে তার সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা, অনুপস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের আইনিসেবা প্রদানে তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে একসময় আইনজীবী ফোরামের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি দুই বছর আগে সপরিবারে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর তিনি পিপি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন এবং সংশ্লিষ্টদেরকে ভুল বুঝিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটি বাগিয়ে নেন। যা সিলেটের আইন অঙ্গনের সর্বস্তরের আইনজীবীদের মর্মাহত করেছে।