নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটি তরুণী নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ৮:১৮:৩০
ম্যানহ্যাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রীতা দে পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা সিলেটে অবস্থান করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও এক তরুণ।
স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কে ঘটা দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৮ বছর বয়সী দেবপ্রীতা দে ব্রতী ও তার বন্ধু ১৯ বছর বয়সী জীবন লেইকেন।
নিহত দেবপ্রীতা সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক দেবাশীষ দে বসু ও ভার্শতি দে দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। দেবপ্রীতার অকস্মাৎ মৃত্যুতে পরিচিতজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর উত্তর আমেরিকার সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন জানান, লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কের ৩৫ নম্বর বাহির পথে ইনফিনিটি গাড়ির আরোহী ছিলেন দেবপ্রীতা দে। গাড়ির চালক ছিলেন তার বন্ধু জীবন লেইকেন। বাহির পথে অন্য একটি জিপ গাড়ির সঙ্গে তাদের গাড়িটির ধাক্কা লাগলে গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে গাছে ধাক্কা খায়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
অপর গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিউইয়র্ক পুলিশের একাধিক বিভাগ এ নিয়ে তদন্ত করছে।’
ম্যানহ্যাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রীতা দে পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা সিলেটে অবস্থান করছিলেন। রোববার বেলা ২টার দিকে পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে তার মৃত্যুর খবর জানায়।
পুলিশ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এমিরেটসের ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পাঠানোর কথা রয়েছে।
দেবপ্রীতা দের কাকা সুব্রত দে গৌতম জানান, তিনি নিউইয়র্ক ও কানাডা থেকে পরিবারের সদস্যরাসহ মরদেহ নিয়ে দেশে আসছেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেদিনই মরদেহ সিলেটে নেয়া হবে।
সিলেটে অবস্থানরত দেবপ্রীতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের চালিবন্দরে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত পরিবারটির খোঁজখবর নিতে লোকজনকে ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।