logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
    • ইউ কে
  • সিলেট
    • মৌলভীবাজার
    • সুনামগঞ্জ
    • হবিগঞ্জ
  • মুক্তমত
  • সারাদেশ
  • প্রবাস
  • ব্যবসা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • খেলা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • ইউ কে
  • সিলেট
  • মৌলভীবাজার
  • সুনামগঞ্জ
  • হবিগঞ্জ
  • সারাদেশ
  • প্রবাস
  • পর্যটন
  • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • মুক্তমত
  • ব্যবসা
  • শিক্ষাঙ্গন
  • লাইফস্টাইল
  • খেলা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • সিলেট মিরর পরিবার
  • যোগাযোগ
  1. প্রচ্ছদ
  2. মুক্তমত
  3. ন্যাম সম্মেলন ও বাংলাদেশ

ন্যাম সম্মেলন ও বাংলাদেশ


প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২:১৫:৫৯

■ রায়হান আহমেদ তপাদার ■

ন্যাম এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মতাদর্শভিত্তিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রশমনে অবদান রেখেছে। বর্ণবাদ, শাসন-শোষণ ও জাতিগত বিরোধের বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রেখেছে। জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন জুগিয়েছে। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ ও ঔপনিবেশবাদের অবসানের পর ন্যামও তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পরিবর্তন এনেছে। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন করণীয় নির্ধারণ করেছে। ন্যায়ানুগ ও সমতাভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হয়েছে। সমসাময়িক ইস্যুগুলোর ওপর ঐক্যবদ্ধ নীতি-কৌশল বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে বহুজাতিক নীতি বাস্তবায়ন, সমতা ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নশীল বিশ্বের কণ্ঠ বলিষ্ঠতর হয়েছে। ন্যামের সদস্যরা টেকসই উন্নয়ন ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটাও ঠিক যে উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না। সার্বভৌম উন্নয়ন নিশ্চিত করার অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বায়নের অভিঘাতের পাশাপাশি ঋণের বোঝা, অন্যায্য বাণিজ্যচর্চা, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস, দাতাদের অযাচিত শর্তারোপ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ার ফলে উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘে সব রাষ্ট্রের সমান অধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শক্তিশালী দেশগুলো হরহামেশাই তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়। এর ফলেও উন্নয়নশীল বিশ্ব তাদের সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করতে পারছে না। এসব প্রতিবন্ধকতা অপসারণে ন্যাম ৭৭-জাতি গ্রুপের সঙ্গে কয়েকটি যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্য ঘোচানোর দাবি আজ বিশ্বদাবিতে পরিণত হয়েছে।

ন্যামের সদস্য দেশগুলোর বিভিন্নমুখী স্বার্থ এবং বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কারণে অনেক সময়ই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তারপরও সদস্যদের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের একগুঁয়েমির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা ও সহযোগিতার মনোভাব টিকে আছে। ন্যাম যদি বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বই হারাত, তাহলে মাত্র সাড়ে তিন দশকে তার সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা এত উন্নীত হতো না। এখন বিশ্বের একক পরাশক্তি হওয়া সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এই সম্মেলনের দিকে বিরূপতা ও সংশয়ের দৃষ্টিতে তাকাত না। এ কথা সত্য, ন্যামের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু শক্তি বৃদ্ধি পায়নি, বরং তা হ্রাস পেয়েছে। এটা পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির অনিবার্য ফল। একক পরাশক্তির যুগে এই নিরপেক্ষ আন্দোলনের অস্তিত্ব রক্ষা করাই দুরূহ। ন্যাম যে তার অস্তিত্ব এখনো রক্ষা করতে পেরেছে এবং সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছে এটাই সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের রূপকার। বঙ্গবন্ধু শুধু দেশের উন্নয়নই নয়, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সচেষ্ট ছিলেন। তিনি বিশ্বের সবগুলো রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী ছিলেন। এই প্রত্যয় থেকেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ন্যাম সম্মেলনে গিয়ে যতটা গুরুত্ব পেয়েছিলেন, ২০০৯ সালের ন্যাম সম্মেলনে গিয়ে শেখ হাসিনাও অনুরূপ গুরুত্ব পেয়েছেন। শতাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা মিলে তাকে দক্ষিণ এশিয়া থেকে ন্যামের ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত করেছেন। তার মধ্যে সাহসী নেতৃত্বগুণ রয়েছে বুঝতে পেরেই ন্যামের অন্যতম নেতৃপদে তাকে বসাতে তারা দ্বিধা করেনি। ২০১৯ সালে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ১৮তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবারে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অনুষ্ঠিত হয় ১৯তম ন্যাম সম্মেলন। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অভিন্ন বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ন্যাম সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশু ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৯-২০ জানুয়ারি উগান্ডায় অনুষ্ঠেয় পরবর্তী ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের জন্য উত্থাপিত প্রস্তাবনায় এটি বলা হয়েছে। ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের নথিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ভাষাগুলো বহুপাক্ষিকতার প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতিকে প্রতিফলিত করেছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ যা এর মূল নীতিকে প্রতিফলিত করে।

বঙ্গবন্ধু জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা ৫০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক। ফলাফল নথি, কাম্পালা ঘোষণা ও ফিলিস্তিন বিষয়ক ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্বাধীন সত্তা, জাতীয় সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়, যা গণমানুষের মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে সুখী-সুন্দর জীবনের মূল উপাদান রচনায় সহায়ক হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও আরব ভূখণ্ড ইসরায়েলের অবৈধ দখলে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার অস্বীকার করে চলেছে। জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম আজও অব্যাহত এঙ্গোলা, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, গিনিবিসাও-সহ ল্যাটিন আমেরিকা ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। বর্ণবাদের কালো থাবা আজও দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণকে পীড়িত করছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসের জনগণের পূর্ণ মুক্তির আন্দোলন এখনো বিজয়ের মুখ দেখেনি।

এ সম্মেলন আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষের জাতীয় ও আইনগত অধিকার আদায়ের লড়াই সমর্থন করে। মানবিক সমস্যার সমাধান উপমহাদেশের শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বময় নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং যুদ্ধে সম্পদ বিনাশের কবল থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষার প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। উপনিবেশবাদী, সাম্রাজ্যবাদী ও বর্ণবাদীদের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের আত্মত্যাগ এবং তাদের মুক্তিসংগ্রামকে জয়যুক্ত করার অঙ্গীকারে হোক আগামীর ন্যাম সম্মেলন, এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

raihan567@yahoo.com

 

মুক্তমত এর আরও খবর
জীবনের পথে, মানুষের তরে ডা. এস এম আসাদুজ্জামান জুয়েল

জীবনের পথে, মানুষের তরে ডা. এস এম আসাদুজ্জামান জুয়েল

ঢালাওভাবে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের যৌক্তিকতা কতটুকু?

ঢালাওভাবে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের যৌক্তিকতা কতটুকু?

ট্রাম্প আসায় কেমন হবে ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্ক

ট্রাম্প আসায় কেমন হবে ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্ক

পাতাল মেট্রোরেলের কাজ এগোলো কতদূর?

পাতাল মেট্রোরেলের কাজ এগোলো কতদূর?

সর্বশেষ সংবাদ
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ২ জনের মৃত্যু
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ২ জনের মৃত্যু
যে কারণে শীতে প্রতিদিন খাবেন টমেটো সালাদ
যে কারণে শীতে প্রতিদিন খাবেন টমেটো সালাদ
কোন আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রেজা কিবরিয়া?
কোন আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রেজা কিবরিয়া?
বাংলাদেশে কারাদণ্ড, যুক্তরাজ্যে যে বিপদে পড়তে পারেন টিউলিপ
বাংলাদেশে কারাদণ্ড, যুক্তরাজ্যে যে বিপদে পড়তে পারেন টিউলিপ
<span style='color:#ff0000;font-size:16px;'>প্লট দুর্নীতির মামলা</span> <br> হাসিনার ৫, রেহানার ৭ ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড
প্লট দুর্নীতির মামলা
হাসিনার ৫, রেহানার ৭ ও টিউলিপের ২ বছরের কারাদণ্ড
শিগগিরই ভারতের সঙ্গে ওয়ার্কিং রিলেশন স্বাভাবিক হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিগগিরই ভারতের সঙ্গে ওয়ার্কিং রিলেশন স্বাভাবিক হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
সীমান্তে পচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
বাংলাদেশে সাজা হলে যুক্তরাজ্যে যে পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন টিউলিপ
বাংলাদেশে সাজা হলে যুক্তরাজ্যে যে পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন টিউলিপ
রণবীর বেছে নিলেন দীপিকাকে
রণবীর বেছে নিলেন দীপিকাকে
১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, আমিও পারিনি: ডিসি
১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, আমিও পারিনি: ডিসি
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলার রায় ৭ জানুয়ারি
সিলেটে পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলার রায় ৭ জানুয়ারি
খিলগাঁও ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
খিলগাঁও ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক নিহত
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আ.লীগ, মূল সমন্বয়কারীর নাম প্রকাশ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আ.লীগ, মূল সমন্বয়কারীর নাম প্রকাশ
পৃথক হলো বিচার বিভাগ
পৃথক হলো বিচার বিভাগ

© 2023 Sylhetmirror.com All Rights Reserved

সম্পাদক: মোহাম্মদ আব্দুল করিম (গণি)
নির্বাহী সম্পাদক: এনামুল হক রেনু

সিলেট মিরর পরিবার

Office: Unit 2, 60 Hanbury Street London E1 5JL

sylhetmirror@gmail.com

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh

Go to top