সিলেটে শিশুকন্যা হত্যায় শিক্ষিকা মা ৩ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪৮:০০
সিলেটে শ্বাসরোধ করে দেড় বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার রহস্যময় ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে শিশুটির মা স্কলার্স হোমের শিক্ষিকা নাজমিন আক্তারকে। শিশুকন্যার পিতা প্রবাসী সাব্বির হোসেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বৃহস্পতিবার নাজমিনকে আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করেন। যদিও বুধবার গ্রেফতারের পরপরই নাজমিন পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
এদিকে পুলিশের চাওয়া ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক সুমন ভুঁইয়ার আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের পরই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার নাজমিন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. জিয়া উদ্দিনের মেয়ে। তিনি সিলেটের একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা। বুধবার নাজমিনের গর্ভজাত দেড় বছর বয়সী সন্তানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা আটক করে পুলিশে দেয় মা নাজমিনকে।
বুধবার নাজমিনকে আটক করে থানায় নেওয়ার পর তার স্বামী কাতার প্রবাসী সাব্বির হোসেনকেও থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় নাজমিন চিৎকার করে স্বামীর বিরুদ্ধে চরিত্রহীনতাসহ নানা অভিযোগ করেন।
নাজমিন দাবি করেন, স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরেই মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছেন। রাতেই স্ত্রী নাজমিনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন সাব্বির। তবে বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পর এমন স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি নাজমিন।
পুলিশ জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোলাপগঞ্জ এলাকার নাজমিনের সঙ্গে দক্ষিণ সুরমার বদলি এলাকার সাব্বির হোসেনের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের পর থেকে তারা শাহপরান এলাকায় থাকেন। নাজমিন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তার স্বামী কাতার প্রবাসী। এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল নাজমিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে। সাব্বিরকে বিয়ে করার পর গত দেড় বছর আগে নাজমিনের গর্ভে জন্ম নেয় সাবিহা।