সিসিকের বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহার না হলে গণআন্দোলনের হুমকি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৭:৩১
সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) পানির বিল ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘অযৌক্তিকভাবে’ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বর্ধিত বিল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি চলাকালে বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহার না হলে গণআন্দোলনের হুমকি দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার দুপুর ২টায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে উত্তর কাজীটুলাবাসীর ব্যানারে উত্তর কাজীটুলা, কাজীটুলা উঁচাসড়ক, কলবাখানি, রায়হোসেন কলবাখানি, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, গোয়াইটুলা চাষনীপীর রোডের বাসিন্দারা মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্দেশ্যে আসাদ উদ্দিন বলেন, পানির বিল না বাড়িয়ে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করতে কাজ করুন। জনগণকে ভোগান্তি দেবেন না। জনগণ যেমন বুকে নিতে জানে, তেমনি ছুড়ে দিতেও জানে। নগরবাসীর মতামত উপেক্ষা করে মানুষের সহ্যসীমার বাইরে যে পানির বিল নির্ধারণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত অমানবিক। নগরীর অধিকাংশ কাউন্সিলরকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে এই অস্বাভাবিক বিল নির্ধারণ করা হয়েছে। নগর ভবনে পরিষদের বৈঠকেও অফিসিয়ালি বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পাস হয়নি। তবুও বাসাবাড়িতে বর্ধিত বিল পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে বর্ধিত বিল প্রত্যাহার করুন। না হলে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দীন আহমদের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাশেদ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, উত্তর কাজীটুলা জামে মসজিদের উপদেষ্টা সাংবাদিক আব্দুল মালিক জাকা, মসজিদের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ূম, মো. শাহিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, সদস্য মো. শাহজাহান, রুহেল আহমদ, ব্যবসায়ী জুবের আহমদ চৌধুরী, কাজীটুলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান বাবলু, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান শাহিন, অন্তরঙ্গ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আবদুল আহাদ এলিস প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করে গ্রাহকদের পানির বিল দ্বিগুণ করে সিসিক।