ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ড: তৃতীয় দিনের মত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০২১, ১০:৪২:২৮
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো পিছিয়ে গেল গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক, বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন জানান, সোমবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আরমান আলী ও সিআইডির আইটি ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক মাসুদ সিদ্দিকীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। গত ২৭ অক্টোবর ও ৮ নভেম্বরের পর আজও আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি সিআইডির দুই কর্মকর্তা। ফলে সিলেট সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লবের আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এভাবে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের অনুপস্থিতির ফলে মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত হওয়ার আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ।’
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনির উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে মামলার ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ দুজন সাক্ষী কয়েকটি নির্ধারিত দিনে সাক্ষ্য দিতে আদালত হাজির না হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে অনন্ত বিজয়ের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় শী শেখর বলেন, ‘করোনা মহামারিতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এমনিতেই অনেক পিছিয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে চলতি বছর আর বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নুরানি আবাসিক এলাকায় নিজ বাসার সামনে খুন হন ব্যাংক কর্মকর্তা অনন্ত বিজয়। নিহতের বড় ভাই রত্নেশ্বর
দাশ বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
এই ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা টিম দায়িত্ব স্বীকার করেছিল।
২০১৭ সালের ৯ মে সিআইডি পরিদর্শক আরমান আলী ৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। আসামিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং দুজন কারাগারে রয়েছেন।