কোম্পানীগঞ্জে টিলা কেটে ২৫১ কোটি টাকা লুট, দুদকের মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ৯:৩৩:১৪
পুরো টিলা কেটে ছয় কোটি ২৮ লাখ আট হাজার সাত শ’ ৫০ ঘনফুট পাথর উত্তোলন করা হয়েছেপুরো টিলা কেটে ছয় কোটি ২৮ লাখ আট হাজার সাত শ’ ৫০ ঘনফুট পাথর উত্তোলন করা হয়েছে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কাটার পাশাপাশি পরিবেশ ধ্বংস করার অপরাধে মামলা করেছে দুদক। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে লিজ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিককে।
বুধবার রাতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নূর-ই-আলম জানান, এ মামলায় আসামি করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালবাড়ি এলাকার জিয়াদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীকে (৪০)। ২০০৪ সালে মাত্র ৬১ একর জায়গা লিজ নিয়ে ১৩৭.৫০ একরের শাহ আরেফিন টিলার পুরোটাতে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালিয়ে সরকারের ২শ’ ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করার অপরাধে দুদক মামলাটি দায়ের করে। প্রতারণার মাধ্যমে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি করায় এ মামলা করা হয়।
জানা যায়, মেসার্স বশীর অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী ২০০৪ সালের ৫ এপ্রিল তারিখে ১৩ শর্তে ওই টিলার ২৫ হেক্টর (৬১ একর) জায়গা জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন খনিজসম্পদ ব্যুরো থেকে সাধারণ পাথর উত্তোলনের জন্য লিজ নেন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভঙ্গ করা হলে ওই সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বন্ধ না রেখে পুরো টিলা থেকেই ছয় কোটি ২৮ লাখ আট হাজার সাত শ’ ৫০ ঘনফুট পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। যারা মূল্য ২শ’ ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই জুয়েল বলেন, ‘ভাই (মোহাম্মদ আলী) পাঁচ-ছয় দিন আগে থেকে জেলে। পরিবেশের একটি মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জেলে পাঠান।’