রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২:২০:৩৯
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত হওয়া রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন এই অভিযোগ গঠন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতের পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ।
এসআই আকবরের টর্চার সেলের নাম ‘ভিআইপি রুম’!
তিনি বলেন, রায়হান হত্যা মামলার আসামি নোমান ছাড়া সব আসামির উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠন করার আগে আদালতের বিচারক পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের বিষয়ে মামলার বাদীর কোনও আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে বাদী তার আপত্তি নেই বলে জানান। পরে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
এসআই আকবরের হয়ে যে কারণে লড়বেন না তার আইনজীবী
তিনি বলেন, আদালত পলাতক নোমানের মালামাল ক্রোক ও তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে পত্রিকায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। তবুও নোমান আদালতে না এলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ঈদের দিন রায়হানের ছবি বুকে নিয়ে কান্না করেন মা
আদালত সূত্র জানায়, এ বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। বর্তমানে নোমান ছাড়া বাকি সবাই কারাগারে আছেন।
স্পন্সরশিপ পেয়েছিলেন রায়হান, নভেম্বরেই দাঁড়ানোর কথা ছিল ভিসার জন্য
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।