সারা দেশে ৫০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২১, ১১:৩৩:৪৫
ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সারা দেশে ‘এক দেশ, এক রেট’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ভূগর্ভস্থ ক্যাবল সেবা এনটিটিএনের সেবামূল্য (ট্যারিফ) বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বরে থেকে এ কর্মসূচি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই সেবামূল্য ঘোষণা করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে ট্যারিফের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, গত ৬ জুন ‘এক দেশ, এক রেট’ ইন্টারনেট কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পরে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এই ঘোষণার (আইআইজি ও এনটিটিএন ট্যারিফ) ফলে সারা দেশে ‘এক দেশ, এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হয়ে গেল। এই মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো গ্রাহকদের স্বার্থ বিরোধী। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে হবে। তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মতো মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্যও আইআইজি ও এনটিটিএনের সেবামূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেবামূল্য সরকারিভাবে বেঁধে না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো দাম ঠিক করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত। তাই, আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত জুনেই আইএসপিদের জন্য তিনটি প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণের কথা জানানো হয়। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি ৫ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসিক ৮০০ টাকা, এর গতি হবে ১০ এমবিপিএস এবং তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, দাম হবে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই এই ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, এই সেবা মূল্য নির্ধারণ আমাদের জন্য এক মাইলফলক। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই ঘোষণার আওতায় চলে এলে এটা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। এই সেবামূল্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই ঘোষণার আওতায় আসতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলি যোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করার জন্য টেলিটক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এটি খুব দ্রুতই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম, আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম প্রমুখ।