‘কঠোর’ লকডাউন ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুলাই ২০২১, ৪:৪১:২০
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্দ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে কঠোর লকডাউন দিয়েছিল সরকার। ১ জুলাই থেকে চলমান এই লকডাউন শেষ হবে ৭ জুলাই। তার আগেই সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা এল।
ঈদুল আযহা সামনে রেখে বিধিনিষেদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ সাধুবাদ জানিয়েছেন। আবার যারা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু-ছাগল লালন পালন করছেন তাদের মনে শঙ্কা ভর করেছে।
নতুন ঘোষিত লকডাউন শেষ হবে ১৪ জুলাই। এরপর ঈদের এক সপ্তাহেরও কম সময় হাতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বাজার জমকে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে খামারি-চাষীরা।
তবে দিন যাচ্ছে আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার দেশে সর্বোচ্চ ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু বেড়ে ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
দৈনিক সংক্রমণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। রোববার ৮ সহস্রাধিক নতুন করোনা রোগীর তথ্য দিয়েছে সরকার। এমতাবস্থায় লকডাউন তুলে নিলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না, উল্টো বেড়ে যাবে। এ কারণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।
এর আগে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
পরে ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। আজ নতুন করে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো। অর্থাৎ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই ‘কঠোর বিধিনিষেধ’।
গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউনের বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প-কারখানা খোলা থাকলেও জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। বিনা প্রয়োজনে বের হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত চারদিনে শুধু ঢাকায়ই সহস্রাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।