শায়েস্তাগঞ্জে শ্বশুরালয়ে জামাতার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২১, ১:১৮:৫৯
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জের কলিমনগরে শারীরিক নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে জামাইকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় সৈয়দ আলমগীর হোসেন (২৭) নামের ওই জামাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে না পাঠিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে রাখার অভিযোগও উঠেছে।
বর্তমানে আলমগীর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সৈয়দ আলমগীর বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদেশ্বর গ্রামের সৈয়দ মানিক মিয়ার পুত্র।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমগীর এ প্রতিবেদককে জানান, হবিগঞ্জ শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরির সুবাদে তার সাথে পরিচয় হয় শায়েস্তাগঞ্জের কলিমনগর গ্রামের শফিকুর রহমানের কন্যা কুলসুমা আক্তারের। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালের ২০মে হবিগঞ্জ শহরে একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা।
এরপর থেকে একই কর্মস্থলে থাকাবস্থায় আলমগীর নিজে কুলসুমাকে নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন এবং বহন করেন যাবতীয় খরচ। আলমগীর বলেন, তখনও তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। তবে গত ১ জুন লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে নিয়োগ লাভের পর কুলসুমা আক্তারের মনের পরিবর্তন অনুভব করেন আলমগীর।
পরবর্তীতে পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুলসুমা বেঁকে বসেন এবং গত ৩০ জুন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে একটি তালাকনামা পাঠান আলমগীর হোসেনের ঠিকানায়। ওই তালাকনামা গ্রহণ না করে এর কারণ জানতে ৩০ জুন সন্ধ্যার পর কলিমনগর শ্বশুরবাড়িতে যান আলমগীর। তার অভিযোগ, সেখানে গেলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে আটকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে এবং শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে না পাঠিয়ে ‘হোটেল কাইফা’র রুমে রাখে। সেখান থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে সকালে বের করে দেয়। পরে খবর পেয়ে আলমগীরের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসার পরামর্শ দিলে আলমগীর চলে যায়।