শাল্লায় হামলা: দুর্বল ধারায় মামলা নিয়েছে পুলিশ, দাবি স্থানীয়দের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০২১, ৭:৫২:০০
সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় যে মামলা হয়েছে সেটি দুর্বল- এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে গ্রহণ করে, সব আসামিদের গ্রেপ্তার ও চার্জশিট দেয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শাল্লা সোচ্চার নাগরিক ফোরাম (সোচ্চার) সিলেট নামের একটি সংগঠনের। সম্মেলনে সংগঠনটি পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে এ দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত দাশ বলেন, শাল্লায় সংখালঘুদের বাড়ি-ঘরের হামলার বিষয়টি পুর্বপরিকল্পিত এবং প্রশাসন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা প্রতিরোধে সম্পূর্ণ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার পর নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা যে মামলাটি করেছেন সেটি অত্যন্ত দুর্বল ধারায় আমলে নিয়েছে পুলিশ। এটিকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নথিভুক্ত করা সমীচীন। কিন্তু পুলিশ সেটি করেনি। পুলিশ অপেক্ষাকৃত হালকা ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের ওপর হামল নতুন নয়। এর আগে চট্টগ্রামের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নোয়াগাঁও গ্রামের হামলা একই সূত্রে গাঁথা। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও লুটপাটের মাধ্যমে তাদের মনে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে সম্পত্তি দখল ও দেশছাড়া করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।
নোয়াগাঁওয়ের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের দ্বারা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার চক্রবর্তী, সদস্য জ্যোতিষ মজুমদার, দীলিপ কুমার দাস, প্রদ্যুৎ কান্তি মজুমদার ও ওমর চক্রবর্তী।
গত ১৭ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুদের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার মানুষের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়।মামলায় প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনসহ ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।