ড্রাগ লাইসেন্স-ফার্মাসিস্ট ছাড়া ফার্মেসি বন্ধ হবে: মাহবুবুর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১:০৫:৩৫
বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘ফার্মেসি দিতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়াই যেসব ফার্মেসি করা হয়েছে তা আইনানুযায়ী অবৈধ। ওইসব অবৈধ ফার্মেসিতে কোনো ওষুধ কোম্পানি ওষুধ সরবরাহ করতে পারবে না।
ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া যেসব ওষুধের দোকান চালু আছে তা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার নীলফামারী জেলা শহরের বাটার মোড়ে মডেল ফার্মেসি এবং বড়বাজারে মডেল মেডিসিন শপ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সকল ফার্মেসিগুলোকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপে রূপান্তর করা হবে।’
তিনি জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মডেল ফার্মেসি এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মেডিসিন শপ স্থাপনের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এরই মধ্যে দেশে ৩৭ হাজার মডেল মেডিসিন শপ এবং পাঁচশত মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান মাহবুবুর।
তিনি বলেন, দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ দিয়ে পূরণ করা হয়। আমাদের দেশের উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বমানের। বর্তমানে আমাদের উৎপাদিত ওষুধ বহির্বিশ্বের ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক অজিউল্লা, জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।