প্রবীণ কমিউনিটি নেতা আব্দুল আহাদ আর নেই

যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় ও প্রবীণ কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব এম এ আহাদ আর নেই। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কাঁঠালখাইর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রথম প্রজন্মের একজন বিলেত প্রবাসী বাঙালি। করোনার প্রথম দফা সংক্রমণের সময় তিনি দেশে ছিলেন। মাস দুয়েক আগে তিনি বিলেতে যান। মাত্র ১৫ দিন আগে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর তিনি আইসিইউতে ছিলেন।

সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো. আব্দুল আহাদ খান সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, জগন্নাথপুর ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ এতিমখানাসহ অসংখ্য সামাজিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। তিনি জগন্নাথপুর নয়াবন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটিরও সদস্য ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটি, সিলেট ও নিজ এলাকা জগন্নাথপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এদিকে, প্রবীণ কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব এম এ আহাদ-এর মৃত্যুতে বাংলা মিরর গ্রুপ, ইউ,কে’র পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।

এক শোক বার্তায় লন্ডন থেকে প্রকাশিত ইংরেজি সাপ্তাহিক বাংলা মিরর, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি হুজ’হু ও অনলাইন পোর্টাল সিলেট মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গনি বলেন, আলহাজ্ব এম এ আহাদ ছিলেন একজন পরোপকারী ব্যক্তিত্ব। অনেক মসজিদ-মাদরাসা-এতিমখানার প্রতিষ্ঠা করে তিনি একজন মানবতাবাদী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। প্রথম প্রজন্মের একজন বিলেত প্রবাসী বাঙালি হলেও তিনি ছিলেন নির্লোভ-নিরহংকারী-নির্মোহ। তাঁর চলনে-বলনে ছিল সারল্য। জীবন-যাপন করতেন একেবারে সাদামাঠা। তার  চলে যাওয়া যুক্তরাজ্যের বংলাদেশি কমিউনিটির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সৎ ও আদর্শবান মানবতাবাদীর প্রতিরুপ হয়ে তিনি দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।

আব্দুল করিম গনি শোকবার্তায়  আলহাজ্ব এম এ আহাদ-এর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।