এবার সিলেটে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২০, ৯:৫২:০৬
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে বেরিয়ে আসছে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা। এবার পূর্ব বিরোধের জের ধরে জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোর্তিময় সরকার।
জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে পাঁচ সন্তানের জননীকে (৩৫) ধর্ষণ করে দেলোয়ার (৪০)। তাকে সহযোগিতা করে জামাল মিয়া ওরফে বাট্টি জামাল (৪০) ও হারুন মিয়া ওরফে চাক্কু হারুন (৩৫)।
দেলোয়ার শামীমাবাদের ৪ গলির ২নং বাসার লালু মিয়ার ছেলে, বাট্টি জামাল ও চাক্কু হারুন একই এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষিত নারীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার সকালে তার স্বামী বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় দেলোয়ার, বাট্টি জামাল ও চাক্কু হারুনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে দেলোয়ার ও চাক্কু হারুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। অপর আসামী বাট্টি জামালকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে, নগরীর দাড়িয়া পাড়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন মিজুর (২২) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজুকে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত সোমবার শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাাব-৯। রোববার তাকে এসএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর বিকেলে মিজুকে আদালতে নেয়া হয়।
অপরদিকে, শহরতলির রায়েরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার জসিম উদ্দিন (২২) ও মো. এখলাছ মিয়ার (২০) সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।