ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১০:৪১:৫৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নির্মাণ কাজ এবং একই সাথে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নব নির্মিত ‘ম্যুরাল’ এবং ‘মুজিব কর্ণার’ এর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, এমপি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের প্রকল্প ও কার্যক্রমের উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
চীনের বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ (বিইউসিজি) টার্মিনাল সম্প্রসারণের কাজ করছে।
২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটির চুক্তি সই হয় গত ১১ মে। প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হলে নতুন টার্মিনাল ভবন দিয়ে বছরে ২০ লক্ষ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। আধুনিক স্থাপত্য শৈলী সম্বলিত কাঠামোগত ডিজাইন, অত্যাধুনিক সুযোগ সবিধা ও স্থাপনাদি এবং দৃষ্টিন্দন উপকরণাদি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিতব্য এ টার্মিনাল দেশী-বিদেশী যাত্রীগণকে মুগ্ধ করবে। ভবনের স্থাপত্য নকশা যৌথভাবে করেছেন কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান Yooshin I Heerim hviv Incheon International Airport এর টার্মিনাল-২ সহ বিশ্বের বহু এয়ারপোর্টের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান।
আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ৬টি বোর্ডিং ব্রিজ ( ডাবল ডকিং ২টি, সিঙ্গেল ডকিং ২টি ), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার যার মধ্যে ২টি স্বয়ংক্রিয়, বর্হিগামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ৬টি এসকেলেটর, ৯টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য ৩টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের ১ম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং ২য় তলা বর্হিগামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহ্নত হবে। শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সরাসরি যেতে পারবেন। আবার বিদেশ হতে আগত যাত্রীগণ ১ম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রোড ব্যবহার করে শহরের যেকোন প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বর্হিমুখী সকল যানবাহন চলাচল হবে একমুখী যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূণর্ যানজটমুক্ত রাখবে।
নতুন টার্মিনাল ভবনের সাথে আরও যে সকল অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে তা হলো অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কার্গো টার্মিনাল, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, রক্ষনাবেক্ষণ ভবন, ৬টি উড়োজাহাজ পার্কিং উপযোগী এপ্রোন, টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র সহ ফুয়েল ডিষ্টিবিউশান এন্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেম সহ আরও অনেক সুবিধা সন্নিবেশিত থাকবে এই নতুন টার্মিনালে।
নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ শেষ হলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ তথা সিলেটের ভাবমুর্তি আরও উজ্জল হবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশের বিমান সংস্থা এ বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আকাশ পথে যাত্রীদের বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নের সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, দরপত্র আহবানের মাধ্যমে এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে গত ২৪ মার্চ Beijing Urban Construction Group Co.Ltd (BUCG) লিমিটেডকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে প্রকল্প কাজ সমাপ্ত হবে।