অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাহেদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২০, ২:১৩:০৭
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ রিমান্ড এ রিমান্ড আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। বিচারক তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন।
২৮ জুলাই সাহেদকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ৫ আগস্ট তার গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু সাহেদ অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় এদিন শুনানি হয়নি।
এর আগে গত ২৩ জুলাই সাতক্ষীরার ভার্চুয়াল আদালতে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ২৬ জুলাই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রস্তুতকারী রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ করিম আত্মগোপন করেছিলেন। এরপর গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কমলপুর গ্রামের ইছামতি খালের নৌকায় করে ভারতে পালানোর সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ অর্থ আত্মসাতের মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।