ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: সিলেটে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২০, ৯:২৩:৪২
মিরর ডেস্ক : লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ইতালি পাঠানোর সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে গেল বছর অন্তত ৬৫ জন প্রাণ হারান। তন্মধ্যে সিংহভাগই ছিলেন বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় আজ বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
চার্জশিটে ট্রাভেলস ব্যবসায়ীসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম কাওছার আহমদের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক এনামুল হক, গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, নোয়াখালীর মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুব রিপন ও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের মূলহোতা লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে ‘গুডলাক’।
এদের মধ্যে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে। বাকি আসামিরা পলাতক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান জানান, মানব পাচারকারী চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভনে ফেলে। এরপর লিবিয়া নিয়ে ইতালিতে যেতে আগ্রহীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগরে নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সাগর উত্তাল হয়ে ওঠলে নৌকাডুবে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, এই চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতো।
শহিদুল ইসলাম খান জানান, একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে মানবপাচার আইনে, অন্যটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে। দুটি চার্জশিটেই এই ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ২০১৯ সালের ৯ মে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৬৫ জন প্রাণ হারান। তন্মধ্যে সিলেটের বাসিন্দাই ছিলেন বেশি।
এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের মুহিদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ মারা যান। পরে তার ভাই মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ওই বছরের ১৬ মে ট্রাভেলস ব্যবসায়ী এনামুল হকসহ ৫ জনের নামোল্লেখসহ ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
তবে, তদন্তে আরেকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় ৬ জনকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান।