সিলেট নগরের ৩০ স্থানে হবে পশু কোরবানী
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০২০, ৯:১৪:৩৬
ঈদুল আযহায় এ বছর সিলেট নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের ৩০টি স্থানে পশু কোরবানীর স্থান ঠিক করেছে সিটি কর্পোরেশন। একই সঙ্গে করোনাকালীন এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানী পশু জবাইয়ের আহবান জানানো হয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন পক্ষ থেকে।
বুধবার (২২ জুলাই) বিকেল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিসিকের নির্ধারিত স্থানে ঈদের দিন পশু কোরবানী দেয়ার আহবান জানিয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত স্থানসমূহের পশু কোরবানীর জন্য উপযোগী পরিবেশ থাকবে। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে যাতে কোরবানী দাতারা তাদের পশু কোরবানী করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।
তিন বলেন, কোরবানীর স্থানগুলোতে পেন্ডেল তৈরি করে দেয়া হবে। থাকবে পানির সুব্যবস্থা, বালতি, মগ, ত্রিপল, চাটাই সহ থাকবে সহজে বর্জ্য অপসারণের সুবিধা সমূহ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলো হচ্ছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০ অর্ণব, মীরের ময়দান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্থান-প্রহরী আ/এ পুরাতন মেডিকেল কলোনী, ৩, ১২, ১৭, ১৯, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিললের বাসা সংলগ্ন স্থান এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাসা সংলগ্ন স্থান ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মাঠে কোরবানীর পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
৫, ৬, ৭, ৮, ১১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পশু কোরবানীর স্থান নির্ধারন করা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত স্থান, আম্বরখানা কলোনী মাঠ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবানী দাতারা পশু কোরবানী দেবেন এতিম স্কুল রোডের জবাই খানায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা কলাপাড়া ওয়ার্কশপের মাঠ ও নবাব রোড পিডিবি কোয়াটার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীরবাজার মাদ্রাসার মাঠ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালালা জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সওদাগরটুলা মাঠ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনের মাঠ- কুমারপাড়া, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম আলী (রা) উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হাতিম (রা) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক-এ, রোড ২৭, শাহজালাল উপশহর ও ব্লক-ই, খেলার মাঠ শাহজালাল উপশহর-এ ইদের পশু কোরবানীর জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব স্থানে পশু কোরবানীর পরপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিসিকের পরিচ্ছন্নতা শাখার কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি পশু কোরবানী এসব স্থানে সিসিকের একাধিক মনিটরিং টিম কাজ করবে।