ফাহিম সালেহকে হত্যার অভিযোগে ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২০, ১২:৩১:৪৫
পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হ্যাসপিলকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার (১৭ জুলাই) তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ফাহিম সালেহ হত্যার পর থেকেই সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিলেন ২১ বছর বয়সী হ্যাসপিল।
সালেহ’র কাছ থেকে বড় অংকের টাকা চুরি করে হ্যাসপিল, এ বিষয়টি জেনে ফেলার কারণেই তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
পুলিশের দুই কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবারই হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে আদালতে অনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হতে পারে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকালে শহরের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ওই ফ্ল্যাটে ফাহিম একাই থাকতেন। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার জরুরি ৯১১ নম্বরে ফোন করেন তার বোন। এরপর পুলিশ এসে অ্যাপার্টমেন্টের সপ্তম তলা থেকে ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে। কোনও পেশাদার কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সংসারে জন্ম নেন ফাহিম সালেহ। জন্মের পরে পরিবারের সাথে নিউইয়র্কে চলে যান তিনি। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা। পড়াশোনা শেষে ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কেই বসবাস করতেন।
২০১৪ সালে ঢাকায় এসে প্রযুক্তি-ভিত্তিক বেশ কিছু ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ফাহিম সালেহ। শুরুতে শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন সার্ভিস নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করে পাঠাও।
বাংলাদেশে পাঠাও প্রতিষ্ঠায় ফাহিম সালেহ’র সাথে আরও দুজন ছিলেন। যাদের কাছে পরবর্তীতে ফাহিম তার কিছু শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে নিউইয়র্কে ফিরে যান। তবে থেমে থাকেননি তিনি। এরপর ‘পাঠাও’ এর আদলে অন্য দেশে ব্যবসা প্রসারের চিন্তাভাবনা শুরু করেন ৩৩ বছর বয়সী এ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।