সিলেটে আরও ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২০, ১২:২৮:৩৬
সিলেটে আরও ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (৫ জুলাই) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৪৭ জনের এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, রোববার কলেজের ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তরা সবাই সিলেটের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ওসমানীর ল্যাবে শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ৩৬ জন, জকিগঞ্জে ৪ জন, ফেঞ্চুগঞ্জে ১ জন ও বিশ্বনাথ উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি শ্রীমঙ্গলে ১ জন, দিরাই উপজেলায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাম্মাদুল হক জানান, শাবির ল্যাবে আজ ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। শনাক্তদের মধ্য ৩৫ জন সুনামগঞ্জ জেলার ও ৮ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পরে গত ৮ মার্চ। আর সিলেট বিভাগে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে গত ৫ এপ্রিল। সর্বশেষ রোববার (৫ জুলাই) হবিগঞ্জের ৪৫ জন, মৌলভীবাজারের ৩৫, সুনামগঞ্জের ৩৫ জন আর সিলেটের ৫৫ জন নিয়ে সিলেট বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ২২৭০ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ২ হাজার ৮১৩, সুনামগঞ্জে ১০৯৭ হবিগঞ্জে ৮০৩ এবং মৌলভীবাজারে ৫৫৭ জন।
গত ৪ এপ্রিল বিভাগের প্রথম রোগী হিসেবে মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক ব্যবসায়ী মারা যান। যদিও তার করোনা শনাক্তের রিপোর্ট এসেছিল ৫ এপ্রিল। এরপর থেকে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুও সংখ্যা। সবশেষ রোববার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৮৬ জন। এরমধ্যে সিলেটে ৬৮, মৌলভীবাজারে ৫, সুনামগঞ্জে ৭ এবং হবিগঞ্জে ৬ জন।
অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থ রোগী সংখ্যা। গত ২৭ এপ্রিল বিভাগে প্রথম সুনামগঞ্জে দুই রোগী করোনাভাইরাস জয় করে বাড়ি ফেরেন। এরপর প্রতিদিন বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীরা করোনা জয় করে বাড়ি ফিরছেন। সর্বশেষ রোববার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৬৯৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৫১৩, সুনামগঞ্জে ৬১০, হবিগঞ্জে ২৯৮ এবং মৌলভীবাজারে ২৭৭ জন।