একই সাথে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চার আসামির উপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার পাঁচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), নুরু ওরফে নূর ইসলাম (২৬), আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪) এবং ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬) ও দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪)। এদের মধ্যে সোহেল ও মোমিন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, তরুণীর (১৮) সাথে সদর উপজেলার পাঁচিল গ্রামের রাসেলের ফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফোন করে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলে রাসেল। মেয়েটি সেখানে গেলে রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেলসহ পাঁচজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরদিন ভোরে মেয়েটি বাড়ি ফেরার পথে অন্য আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে ফের নির্যাতন করেন। ভিকটিম ফোন করে তার বোন ও ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।