বর্ণিল আলোকসজ্জায় টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২১, ৮:২১:২৩
বর্ণিল আলোকসজ্জা আছে। স্বাাগতিকদের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার পুরোনো রেওয়াজ রক্ষার চেষ্টাও চলছে আগের মতোই। অ্যাথলেটদের পদচারণাও ঠিকঠাক। সবই তো আগের মতো? নাহ, আছে ভিন্নতা। ভয়, আতঙ্ক আর অদৃশ্য ভাইরাসের শঙ্কা তো ভর করে আছে পৃথিবীর সব জায়গাতেই।
অলিম্পিকও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনায় অলিম্পিক পিছিয়েই গিয়েছিল এক বছর। এবারও যে হবে তা নিয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। শেষ অবধি পর্দা উঠল ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ এবারের আসরের। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরু হয়েছে অ্যাথলেটদের প্যারেড। সবার আগে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন গ্রিসের অ্যাথলেটরা। এরপর অলিম্পিক কমিটির শরনার্থী দল। তারপর ইংরেজি অদ্যাক্ষর ‘আই’ দিয়ে শুরু হওয়া দুই দেশ আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছে।
অলিম্পিক লরেল নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেল পদকজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে ভার্চুয়ালি তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন ইউনূস।
করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছু। অলিম্পিকে অংশ নেওয়া অ্যাথলেটরাও চালিয়েছেন একক অনুশীলনে। টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলা হলো সে দৃশ্য। জাপানের নার্স ও বক্সার তাসুবাদা মঞ্চের মাঝখানে গিয়ে একাই দৌড়ান বেশ কিছুক্ষণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাপানের সম্রাট নারুহিতো। ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকের উদ্বোধন করেছিলেন তার দাদা সম্রাট হিরোহিতো। উপস্থিত আছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।