দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩৬৪ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১০৪
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২১, ৭:৫২:০২
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৭৮তম দিনে দেশে নতুন ১০৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৭৬ জন।
গতকাল ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় আট হাজার ৩৬৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এটাই একদিনে সবচেয়ে বেশি শনাক্তের সংখ্যা। এর আগে গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৪টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৫৭০ জনসহ মোট আট লাখ সাত হাজার ৬৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১০৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ৯৭ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৮২ জন, বেসরকারীতে ১৫ জন) ও বাড়িতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ২৭৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ১৮৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং চার হাজার ৯০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১০৪ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৩ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৮ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৬৪ লাখের বেশি।