নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: রিজভী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০২৫, ৩:১১:৩৯
নির্বাচন নিয়ে ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্র আবার ভোটারের পদধ্বনিতে মুখরিত হবে। এইটা চাই। তার জন্যই এতো কিছু। তাহলে ভোট কেন পেছাবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা উঠেছে কেন? এটা তো আজকে গোটা জাতির প্রশ্ন। তাহলে নিশ্চয়ই নির্বাচন নিয়ে ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এইটা তো হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ তিনি এসব অভিযোগ করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে কৃষকদল।
রিজভী বলেন, ‘আমরা বলেছি, সংস্কার চাই। যৌক্তিক সময় নির্বাচন দিন একটা নির্দিষ্ট সময় বলে দিন ,বেশি প্রলম্বিত করবেন না। লন্ডনে ড মুহাম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হল; বৈঠক থেকে একটা যুক্ত বিবৃতি আসলো। দেশের মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলো। কিন্তু এই স্বস্তি আমার মনে হয় কেউ কেউ চাচ্ছেন না। তারপরেই সারাদেশে শুরু হল সংঘাত রক্তাক্ত পরিস্থিতি! কেন- প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“মিটফোর্ডে এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নিন্দা জানিয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িদের আজীবন বহিষ্কার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বিবৃতিসহ নিন্দা জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া গডফাদার আর কক্সবাজারে গডফাদারের জন্য শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে তাদের পক্ষে কথা বলতেন। আর দলের নামে কেউ যদি চাদাবাজি করেছে, কেউ যদি অন্যায় করেছে, তাহলে সাংগঠনিক শাস্তি ব্যবস্থা হচ্ছে- কেউ বহিষ্কার হচ্ছেন, কারো পদ স্থগতি হচ্ছে অথবা আমরা নিজেরাই পুলিশকে বলছি, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে অথবা নিজেরাও মামলা দিচ্ছে – এটাই তো তারেক রহমান। আর মিটফোর্ডের ঘটনায় কেন তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিচ্ছেন – প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬-৭ বছর ভয়ঙ্কর নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে যেখানে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না; সেই ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখলো শেখ হাসিনা। গোটা জাতি যার প্রতি সহানুভূতিশীল, অথচ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন!
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দিল, কোমর ভেঙ্গে ফেলা হয় এক এগারো সময়। নিপীড়িত নির্যাতনের এক প্রতীক হচ্ছে তারেক রহমান । তার বিরুদ্ধে মিছিল ও ফেসবুকে সামাজিক গণমাধ্যমে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে আজেবাজে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলা হচ্ছে; তাহলে খুলনায় বিএনপির একজন যুবককে গুলি করে তার পায়ের রগ কেটে দিলো এবং কক্সবাজারে বিএনপি কর্মী আব্দুর রহিমকে হত্যা করল জামায়াত। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে না কেন?
সবসময় যে কোন হত্যাকাণ্ড রক্তপাত হলে সরকারকে অভিযোগ করে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইন শৃঙ্খলার জন্য দায় দায়িত্ব সরকারের অথচ তাকে কিছু বললেন না, প্রশাসনকে কিছু বললেন না। মিছিল করছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, যিনি ১৭-১৮ বছর লন্ডনে রয়েছেন। যিনি নিজেই শেখ হাসিনার নিপীড়িন – নির্যাতনের শিকার।
‘ছয় -সাত বছরের নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয়কে নিশ্চিত করেছেন তারেক রহমান ‘ জানিয়ে রিজভী বলেন, সাহস আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক তারেক রহমান।