সেনাকুঞ্জে অধ্যাপক ইউনূস ও খালেদা জিয়ার কুশল বিনিময়
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৯:২১:১৪
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় তাদের পাশাপাশি চেয়ারে বসে কথা বলতে দেখা যায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সামরিক কর্মকর্তা এবং বিশিষ্টজনরাও তার উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত হন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ একযুগ পর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। কারামুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি।
বিএনপি নেত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌছানোর পর একে একে বিশিষ্টজনেরা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন অগ্রনায়ক নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মাহফুজ-আসিফ ও নাহিদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। অসুস্থতা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, জনগণ যাতে সব ক্ষমতার মালিক হতে পারেন, তেমন দেশ গড়তে চান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতির আদর্শ ধারণ করে সশস্ত্র বাহিনী এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর এই অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর পালিত হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস।