আসন্ন রমজানের জন্য চিনি-ছোলা-তেল আমদানির অনুমতি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৫১:১২
আসন্ন রমজান এবং স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এলএনজি, সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির কয়েকটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (এসিসিজিপি) সভায় এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি হতে দেবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি বলেন, বাজারে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেজন্য আমরা ৪টি পণ্য আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, আগামী রমজানকে সামনে রেখে ছোলা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শিগগিরই আমরা একই কারণে আমদানির দিকে যাব।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করব এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে, যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা লিমিটেড টেন্ডারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জি এলপি ৬৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) সমন্বিত একটি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
একই কোম্পানি ৬৬৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই পরিমাণের আরেকটি কার্গো সরবরাহ করবে, প্রতিটি এমএমবিটিই’র মূল্য ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা পড়বে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ১০১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন ছোলা আমদানি করবে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ডিএসএল প্যাসিফিক প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৪ হাজার টন এবং অস্ট-গ্রান্ট পিটিওয়াই লিমিটেড ৬ হাজার টন ছোলা সরবরাহ করবে।
টিসিবি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) স্থানীয় বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল কিনবে।
টিসিবি স্থানীয় সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার টন চিনি কিনবে। এতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১২০ টাকা ৯২ পয়সা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজার থেকে ১৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। এতে প্রতি টনের মূল্য পড়বে ৩৬৬ মার্কিন ডলার।
বিআইসিআই সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৩০ হাজার টন বাল্ক দানাদার ইউরিয়া আমদানি করবে। এতে প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৮২ দশমিক ৬৭ মার্কিন ডলার।