পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার সেই ব্রিটিশ নাগরিকের জামিন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ৮:১৫:৪৬
কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় কারাগারে যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে তৃতীয়বার আবেদনের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দীন জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ ওই নাগরিক লন্ডনের ডিউজবার্গ শহরের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস মুকিত (৪২)। তিনি জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। তার বাবা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মুকিত।
জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতালের দিন কুমিল্লার চকবাজারে বিএনপি নেতাদের মিছিলে ধাওয়া দেয় পুলিশ। সে সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল ছোড়ে। কয়েকজন নেতাকর্মীকে তখন গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন আহত হন। অপরদিকে, ইটপাটকেল ছুড়লে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় মামলায় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ওই ব্রিটিশ নাগরিকের নামও যুক্ত করা হয়। তখন তিনি বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে দাবি পরিবারের।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার সর্বশেষ নামীয় আসামি মোহাম্মদ ইলিয়াস মুকিত। ওই মামলার বাদী কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার এসআই জীবন কৃষ্ণ মজুমদার। মামলার নথিতে সই করেন কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ।
আইনজীবী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর আগে আমরা দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করলে তা না মনজুর করেন আদালত। আজ স্থায়ীভাবেই জামিন দিয়েছেন।’
এর আগে, মোহাম্মদ ইলিয়াস মুকিতের খালাতো ভাই ও বোনের স্বামী আবদুল গফফার রুবায়েদ বলেন, ‘তিনি জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। করোনার আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেন এবং বউকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছিলেন। তাই তার দেরি হচ্ছিল। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার ভিসার মেয়াদ আছে। কিছুদিন পরই চলে যাওয়ার কথা বউ নিয়ে। তিনি বাংলা কথাও ঠিকমতো বলতে পারেন না। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে তার কোনও ধারণা নেই। যেদিন এ ঘটনা, সেদিন তিনি বাসায় ছিলেন। নিজের চুল কাটার জন্য কারিগরও বাসায় নিয়ে আসেন। কোনোদিন শপিং করতেও যান না। তিনি বাইরে গেলে আরেকজন সঙ্গে যাওয়া লাগে। অথচ তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবার থানায় যোগাযোগ করেছে। পুলিশের অফিসার নাকি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’