অগ্নিদগ্ধ শিক্ষিকার মৃত্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন স্বামী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৩:১০:৫৩
কুমিল্লার একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক তাহমিনা আক্তার মুনার মৃত্যুর রহস্য ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে।
স্বামীর দাবি, বাসার ভেতর অগ্নিদুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তবে মুনার পরিবার বলছে, তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে স্বামী সালাউদ্দিন সুমনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার জামিন চাইতে আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক হাকিম মাজহারুল হক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।
গত ৩১ আগস্ট রাতে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার ভাড়া বাসায় অগ্নিদগ্ধ হন মুনা। পরে তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত বুধবার মুনার স্বামী সুমনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি তরিকুল ইসলাম।
নিহতের বোন মাসুমা খাতুন বলেন, ‘আমার বোন হাসপাতালে মারা যাওয়ার আগে সব বলে গেছে। ঘটনার রাতে সুমন তাঁর ফ্ল্যাটের পানির লাইন অফ করে দেয়। পরে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় মুনার শরীরে।’ তিনি জানান, প্রেম করে ২০১৭ সালে মুনা ও সুমনের বিয়ে হয়। তাঁদের সাফা নামে আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে।
সুমনের বাড়ি চান্দিনায়। মুনার বাবার বাড়ি নগরীর পাথুরিয়া পাড়ায়। তিনি কুমিল্লা মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
সালাউদ্দিন সুমন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন, আবার বলতেন ফ্রিল্যান্সার। তাঁর আয়ের উৎস নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মাজারে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা ছিল। আগেও একাধিকবার যৌতুকের জন্য মুনাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুমন বেকার ছিলেন। তাই ব্যবসার কথা বলে মুনার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক চান। এই টাকা না পাওয়ায় মুনাকে হত্যা করেছেন।’
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক হানিফ সরকার বলেন, সুমনকে সাত দিনের রিমান্ডে আনতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।