বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: এমডি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০২২, ৯:২২:৩২
বাংলাদেশ বিমানের বার্ষিক টার্নওভার ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করে বিমানকে লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের ইতিহাসে আগামী বছর সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হবে বিমান।
বৃহস্পতিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গত মাসে বিমানের এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
যাহিদ হোসেন বলেন, বিমানে যে কোনো ধরনের অপরাধ, অনিয়ম-দুর্নীতি ঘটনার দায়ভার প্রতিষ্ঠানের প্রধান এড়াতে পারেন না। এখন থেকে বিমানে সব অপরাধের দায়ভার আমি নিজেই বহন করবো।
তিনি বলেন, বিমানে ফ্লাইট পরিচালনা, যাত্রীসেবাসহ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং আগের চেয়ে অনেকাংশে উন্নত হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীসেবা আশানুরূপ নয় স্বীকার করে তিনি বলেন, শাহজালালে বিমানের কয়েকটি দুর্ঘনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন এরইমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিমানে পাইলট নিয়োগসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা দুর্নীতি দমন (দুদক) প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা-টরেন্টো রুটে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের চাপ বাড়ছে উল্লেখ করে এমডি বলেন, ঢাকা থেকে বিমানের টরন্টো ফ্লাইটে গন্তব্যে পৌঁছাতে ১০৫ টন এবং ফিরতি ফ্লাইটে ৮৬ টন জ্বালানি খরচ হয়। বিমানের কোনো খবরই এখন থেকে গোপন থাকবে না। সবই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-টরেন্টো স্বল্প সময়সহ বিমানের ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে যাত্রীদের কাছে এই রুটের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে পাশ্ববর্তী ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বিমানের টরন্টোগামী ফ্লাইটের টিকিট কাটছে। বিমানের ঢাকা টরেন্টোগামী প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ৭০-৮০ জন বিদেশি যাত্রী যাতায়াত করছেন।