ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গণহত্যার স্বীকৃতি চায় বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মার্চ ২০২২, ১১:১৮:২২
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ১৯৭১ সালের ‘ইতিহাসের জঘন্যতম’ গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বাংলাদেশ গণহত্যা দিবসের ৫১তম বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
শনিবার হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুনা তাসনীমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান স্যার পিটার শোর পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে বিভিন্ন দলের ২৩৩ জনেরও বেশি ব্রিটিশ এমপি গণহত্যার অবসান এবং বাংলাদেশের স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়ে আরেকটি প্রস্তাব আনেন। এ প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠানে বাঙালি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য রামি রেঞ্জার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য তার অব্যাহত সমর্থনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে যুক্তরাজ্যে এ গণহত্যার একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার গাইত্রী ইসার কুমার, টেপাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবারেল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জোয়ান ডিজেওর্জ-লুৎজ, যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, শহীদ বুদ্ধিজীবী জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার মেয়ে অধ্যাপক মেঘনা গুহঠাকুরতা, লন্ডনে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা দূতাবাসের প্রতিনিধি জেসমিনা সারাজলিচ এবং ইউসিএলের রিসার্চ ফেলো বায়েস আহমেদ।