যুদ্ধে বিজয়ের পথে ইউক্রেন, দাবি জেলেনস্কির
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২২, ১২:০৪:১০
হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজে প্রশ্নের উত্তরগুলো কূটনৈতিকভাবে দিয়েছেন জেমি ডে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি এবং সমঝোতা নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কৌশলী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। আইনজীবীর কোর্টে সবকিছু ঠেলে দিলেও শেষ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন চুক্তি অনুযায়ী এখনও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ আছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে নতুন কোচ হিসেবে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার নাম ঘোষণার দিনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেছিলেন, জেমির সঙ্গে দ্রুতই সমঝোতা করবেন তারা। সেই সমঝোতাও এখন পর্যন্ত হয়নি দুই পক্ষের। অর্থাৎ কাগজে কলমে ক্যাবরেরার সঙ্গে জামালদের কোচ এখনও জেমি ডে।
স্প্যানিশ ক্যাবরেরা দল নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে মালদ্বীপ ও মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন। আর ইংল্যান্ডে অবস্থান করা জেমি দূর থেকে শুধুই শিষ্যদের খেলা দেখবেন!
২০১৮ সালে জাতীয় দলের কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসেন জেমি ডে। তার অধীনে বড় কোনো সাফল্য পায়নি লাল-সবুজের দলটির। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে হঠাৎই জেমিকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে অস্কার ব্রুজোনের হাতে দলকে তুলে দেয় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি।
ব্রুজোনের পর আবাহনীর মারিও লেমোস কোচের দায়িত্ব পালন করলেও জেমিকে বিবেচনায় নেয়নি বাফুফে। চুক্তির কারণে তাকে বরখাস্তও করতে পারছে না ফেডারেশন। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত জেমির সঙ্গে ফুটবল ফেডারেশনের চুক্তি। যে কারণে চাইলেই জেমির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করতে পারছে না ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আবার কাজ না করা একজন কোচকে মাসে মাসে টাকাও দিতে চাইছেন না তারা। তাই দুই পক্ষই এখন নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে। তারাই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। চুক্তির কারণে জেমিকে প্রতি মাসে টাকা দেওয়ার কথা। তবে বাফুফের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরের পর থেকে জেমিকে তারা কোনো অর্থ দিচ্ছেন না।
বাফুফের এমন দাবি সত্য নয় বলে সমকালকে জানিয়েছেন জেমি, ‘এই মুহূর্তে মন্তব্য করার মতো অবস্থানে নেই আমি; তবে বাফুফে যেটা বলেছে সেটা সঠিক নয়।’ চুক্তি এবং সমঝোতা প্রসঙ্গ উঠতেই জেমির উত্তর, ‘আগস্ট পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে আমার চুক্তি রয়েছে। আর এখনও তাদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি। বাফুফের সঙ্গে চুক্তি আছে বলেই আমি এখনও অন্য কোথাও কোচিং করাচ্ছি না।’
বাফুফে কর্তাদের কথা, খুব শিগগিরই জেমি ইস্যুর ইতি ঘটবে। তবে পুরো পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত জেমিও যে ছেড়ে দেবেন, তা কিন্তু নয়। চুক্তিতে থাকার পরও নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। অনেকেরই ধারণা, ফিফার দ্বারস্থ হবেন জেমি ডে।
সরাসরি কিছু না বললেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জেমির উত্তরটা কূটনৈতিক, ‘দেখা যাক।’ চুক্তি থাকা অবস্থাতে আরেকটা কোচ নিয়োগ দেওয়াটা কতটা বৈধ? এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো কিছু না বলা জেমি বল ঠেলে দিয়েছেন তার আইনজীবীর কোর্টে, ‘সবকিছু দেখভাল করছেন আমার আইনজীবী।’ জেমি ইস্যুতে বাফুফে কর্তারাও খুব বেশি কথা বলতে চাচ্ছেন না। তাদের আইনজীবী থেকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। দুই পক্ষ নীরব থাকলেও জেমি ডের ইস্যুটি এখনও যে দোদুল্যমান, তা সহজেই বলা যায়।