মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী সপরিবারে ঢাকার কলাবাগান থানাধীন গ্রিন রোড এলাকায় বসবাস করতেন। লাশটি শনাক্ত করার পরপরই এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশ সুপার ঢাকার নির্দেশনায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার ঢাকার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী অফিসার ভিকটিম চিত্রনায়িকা শিমুর বাসায় যান এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা শুরু করেন।
পরিকল্পিতভাবে এই চিত্রনায়িকাকে হত্যার পর খুনিরা লাশটি কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুরে ফেলে যায় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও তারা (খুনি) কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আলমতগুলো জব্দ করি এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভিকটিম চিত্রনায়িকা শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল (৪৮) ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে ( ৪৭ ) আটক করি।
রাতেই আটক দুজনকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ছিল শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে গত ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা-৮টার মধ্যে যেকোনও সময় খুন হন। পরে লাশটি যে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে সেখানে ফেলে রেখে আসা হয়, আমরা ইতোমধ্যে সেই গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়েছি এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছি।
নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু ফরহাদ বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে । এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।