সিলেটে ভোক্তা অধিকারের ৯৮ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১০:২৪:৪৩
গত একবছরে ৯৮ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সিলেট অফিস। বিভাগীয় কার্যালয়ে ৪ জেলা থেকে দায়ের করা ৩৪৮টি অভিযোগের মধ্যে ৩৪২টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত বাজার অভিযানের কারণে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান স্থানে পণ্য, সেবার মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা নিশ্চিত হয়েছে। এখনো যারা মূল্যতালিকা প্রদর্শন করেননি, তাদের জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বর্তমানে এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অনেকেই অভিযোগ করে সফল হয়েছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে ব্যবসা করায় সম্প্রতি সিলেট নগরীর অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়। এই অভিযানের পরপরই সিলেট বিভাগের চার জেলা সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জের হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও ভোক্তাদের নানা অভিযোগের বিষয় নতুন করে আলোচনায় আসে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন দেশের সবচেয়ে জনবান্ধব ও কল্যাণকর একটি আইন, যা একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এ আইনটি সব মানুষকে প্রতিনিয়ত স্পর্শ করে। সিলেটের মানুষের আস্থা অর্জন করতে ইতোমধ্যে সক্ষম হয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়।
তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মোট ৩ লাখ ১১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়, যার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৭৭ হাজার ৯৫০ টাকা মোট ৬৮ জন অভিযোগকারীকে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সিলেট বিভাগ ও এর আওতাধীন জেলাগুলোতে মোট ৯০৫টি বাজার অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে সিলেট নগরে ১৮৯টি, সিলেট জেলায় ১৭৮টি, হবিগঞ্জে ১৮৫টি, সুনামগঞ্জে ১৬৯টি ও মৌলভীবাজারে ১৮৪টি অভিযান পরিচালিত হয়।
তিনি জানান, চলতি অর্থবছরেও তদারকি কার্যক্রম ও অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের হোটেল-রেস্তোরাঁ, খাদ্য প্রস্তুতকারী বেকারি, মিষ্টির দোকান, ওষুধের দোকান, সিএনজি ও পেট্রলপাম্প, ইটভাটা, ভেজাল মসলা কারখানা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের খুচরা ও পাইকারি বাজার, মুদিদোকান, কাঁচাবাজার, প্রসাধন সামগ্রীর দোকানসহ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতাধীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযান অব্যাহত থাকবে।